ঘুমধুমের মগঘাট এলাকায় কতিপয় প্রতাপশালী কতৃক কৃষকের চাষীয় জমি দখলের অভিযোগ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক ;

ঘুমধুম ৭ নং ওয়ার্ডের শাহ আলম ও শাহজাহানের নিজস্ব বসত ভিটের সংযুক্ত চাষীয় জমি গাছ পালা ও পাহাড় কেটে ভরাট করে দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১) সোমবার আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এমন তথ্যের সত্যতা খুজে পায়। ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘুমধুম ৭ নং ওয়ার্ডের মগঘাট এলাকার আব্দুর রহীম, হোসেন বৈদ্যর ছেলে শাহাব উদ্দীন, মাহমুদ নবী ও তার ছেলে এরশাদুল হক সহ একটি স্থানীয় সঙ্গবদ্ধ চক্র শাহ আলম ও শাহজাহানের নিজস্ব ঐ চাষীয় জমি জবর দখল করে চাষাবাদ করছে। অতচ ভুক্তভোগীর মতে ঐ যায়গার বিষয়ে বান্দরবান জুডিশিয়াল আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে যার প্রেক্ষিতে ঐ স্থানে সকল প্রকার চাষাবাদ সহ স্থাপনা নির্মানের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী রয়েছে। মাতৃসুত্রে প্রাপ্ত ঐ জমির মালিক শাহ আলম ও শাহজাহান জানান আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও আইনের প্রতি সম্পুর্ন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গাছপালাসহ পাহাড় কেটে মাটি ভরাট করছে, যা দেশীয় পরিবেশ আইনের সম্পুর্ন পরিপহ্নী। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে ঘুমধুমের শাহ আলম ও শাহজাহান জানান তারা মাতৃসুত্রে দীর্ঘ ৮০ বছর আগে জমিটি পায়। এতোদিন যাবৎ তারা জমিটিতে চাষাবাদ সহ বিভিন্ন বনজ গাছ রোপনসহ চাষাবাদ করে আসছিলো। হঠাৎ করে গতো ৭/৮ বছর আগ থেকে অভিযুক্ত স্থানীয় আব্দুর রহীম, হোসেন বৈদ্যর ছেলে শাহাব উদ্দীন, সুলতানের ছেলে আব্দুল করিম, এবং মাহমুদ নবীর ছেলে সহ সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র জমিটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এতে ভুক্তভোগী অসহায় জমির মালিক শাহ আলম নিরুপায় হয়ে বান্দরবান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরে উপর ভিত্তি করে আদালত ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রকে দায়িত্ব দেয় ঘটনাস্থলে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। যার ধারাবাহিকতায় পুলিশ ঘটনাস্থলে সকল প্রকার কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। কিন্তু দখলকারীরা তা কর্ণপাত না করে তাদের বে আইনি কর্মকান্ড নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে।


এ ব্যপারে অভিযোগকারীদের সাথে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা উলটো শাহ আলম ও শাহজাহানের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ সমস্যাটি নিরসনে তারা বহুবার চেষ্টা করেও সফল হননি, তারা সমস্যাটি সমাধানকল্পে স্থানীয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।

সীমান্তবাংলা / ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১