ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যহত, পারের অপেক্ষায় শতশত যানবাহন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯

পদ্মা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে প্রায় প্রতিদিনই ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ভোররাতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখছে কর্তৃপক্ষ। এতে নদী পারের অপেক্ষায় শতশত যানবাহন ঘাটে আটকা পড়ছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে পদ্মা নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝ নদীতে আটকা পড়ে দুটি ফেরি। পরে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে এ রুটে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।

এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া প্রান্তের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস এবং গোয়ালন্দ মোড়ের রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে আটকা পড়েছে। তীব্র শীত ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালে আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. মাহবুব হোসেন জানান, কুয়াশার ঘনত্ব কমে যাওয়ায় সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। বর্তমানে এ রুটে ছোটবড় ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করলে পারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের চাপ দ্রুত কমে যাবে।

অপরদিকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ভোরে পদ্মা নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের দিক নির্দেশনামূলক বাতি ঝাপসা হয়ে আসে। এ সময় দিক নির্ণয় করতে ব্যর্থ হন ফেরির চালকরা। এই নৌরুটে সরু চ্যানেল ও ডুবোচর থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে এ রুটে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ভোর ৫টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।