কিশোরগঞ্জে মহিলা কারারক্ষীর দাপটে পুরুষ রক্ষিরা দিশেহারা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের জনৈক মহিলা কারারক্ষীর দাপটে বহু পরুষ- মহিলা রক্ষিরা এখন দিশে হারা হয়ে পড়ছে।

অভিযোগ উঠছে, মহিলা কারারক্ষী শিউলি আক্তার স্বামী বোরহানউদ্দীন, রক্ষি নং (১২৫০) নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জ সদর।

সেই সুবাদে তার দাপট একটু আলাদা। কাউকে মুল্যলায়ন করতে চান না। ১৯৯৭ সালে নিজ জেলা থেকে সে মহিলা রক্ষি পদে ভর্তি হয়ে নিজ জেলাতেই বিগত ১১ বছর যাবৎ চাকুরি করে আসছেন।

১১ বছরে মাত্র একবার মানিকগঞ্জ কারাগারে বদলি হয়ে ২ বছর কাটিয়ে আসেন। সেখানে বদলি গেলেও একটি স্হানীয় মাদক সিণ্ডিকেট মহিলা চক্র তাকে পয়সা খরচ করে পূনরায় কিশোরগঞ্জ কারাগারে আবারও ফিরে আনেন। বেড়ে যায় ডবল দাপট। একথায় তার পূর্বের দাপটে বহাল হয়। অভিযোগ আছে, কিশোরগঞ্জ কারাগারের প্রধান ফটকের সামনেই তার স্বামীর একটি মোবাইল ফোন কল ও লোড এবং বিকাশের ব্যবসায়ীক দেকান। এলাকার লোকজন এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পুরুষ রক্ষিরা বলছেন, ফোনের ও লোডের দেকানটি লোক দেখানো দোকান। মুলত এই ব্যবসার আড়ালে চলছে মাদক ব্যবসার বিপুল অংকের নগদ টাকা পয়সার লেনদেন।

যাহা ঐ মহিলা রক্ষি স্বামী বোরহানের ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা সবগুলো মোবাইল চেক করলেই দেখা যাবে তার ব্যবসায়ীক মোবাইলে কত লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।এই দোকান থেকে ভৈরবের কূখ্যাখাত মাদক সমাজজ্ঞী রেনু বেগম তার প্রধান সহযোগী ,পারভীন বেগম,মনোয়ারা,রুবিনা বেগম,মমতাজ এই থেকেই মাদক ব্যবসার টাকা লেনদেন করেন। এবং এই দোকানটিই ভৈরবের মাদক ব্যবসার একটি সিণ্ডিকেট নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হয়।

কথিত আছে উল্লেখিত, মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকের একটি ছোট চালান সূযোগ বুঝে কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করায়ে বিপুল পরিমান মুনফা করেন। মাদক ভিতরে প্রবেশের সূযোগ করে দেন মহিলা রক্ষি শিউলি। এমন অভিযোগ বিস্তর। উল্লেখ্য থাকে যে।

যেহেতু শিউলি স্বামী জেল গেটের সামনে ফোন কল ও লোডের এবং বিকাশের দোকান করেন, এ কারনে স্তী রক্ষির মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের সব উপজেলার সিংহভাগ বন্দিরাই তার দোকান থেকে বন্দির পিসিতে টাকা, দোকান থেকে মালামাল কিনে দেয় এবং জেল খানায় স্বজন কে কেমন আছে সব খবর স্ত্রী রক্ষি ও অন্যান্য রক্ষিদের মাধ্যমে খবর নিয়ে বন্দির ফোন জানিয়ে দিয়ে বিশেষ সুবিধা গ্রহন করেন, স্বামী- স্ত্রী দুইজনই।

পাশা-পাশি স্ত্রী রক্ষি শিউলির মাধ্যমে বহু মহিলা বন্দির তথা মাদক ব্যবসায়ী বন্দির খবর আদান প্রদান করেন।

এবং দোকানদার স্বামী খুব সহজেই কাঙ্খিত বন্দির স্বজনকে খবরটি জানিয়ে দেয়। মোটকথা সব খবরেই শুধু টাকার কারবার। কারা চাকুরি বিধির নিয়মানুযায়ী, কারারক্ষীদের ছেলে বিবাহ করাতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।

বেশ কিছুদিন আগে তার ছেলেকে গোপনে বিবাহ করায়ে ছেলের বউকে নিজ বোনের মেয়ে বলে চালাতে গিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের তদন্ত ধরা পরে বলে জানাগেছে। বিষয়টি সাবেক জেলার মোঃ বজলুর রশিদ,বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলাকারাগারে আছেন।

তিনি ঘটনার সত্যতা পেলে শিউলির বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টে বিভাগীয় ব্যবস্হা গ্রহন করছেন বলে জানাযায়। উল্লেখ্য, কারাগারের সরকারী চাকুরিবিধির নিয়ম হলো, বিবাহিত ছেলে এবং বউকে সরকারি রেশন সুবিধা দেওয়া চাকুরিবিদির পরিপহ্নি।

জেল কোডের আইন ভঙ্গ করে কারারক্ষী শিউলি এই মামলার আওতায় পড়ে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে এই মহিলা রক্ষী পুনরায় ঐ কারাগারে থাকতে কারামহাপরিদর্শকের বরাবর আবারও আবেদন করছেন।

কারাগারের বহু রক্ষিদের প্রানের দাবি তাকে অনত্র বদলি করে কিশোরগঞ্জ কারাগারটিকে মাদক ও জঞ্জালমুক্ত করার হোক। এই দাবি কারামহাপরিদর্শকের নিকট।