বাঁকখালীর জমি উদ্ধারে এসিল্যান্ডের অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২

 

নিজস্ব প্রতিবেদক
শহরের উত্তর টেকপাড়া সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর জমি উদ্ধারে গত ২২ নভেম্বর দুপুরে অভিযান চালায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান। অভিযানে নদীর জায়গা দখল করে নির্মিত কয়েকটি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। যার ছবি ও ভিডিও সংরক্ষিত আছে। এ নিয়ে পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু দখলবাজ চক্রের মূলহোতা খুরুশকুল মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের পুত্র আলমগীর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা নাটকের রচনা করে। যার অংশ হিসেবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদের মাধ্যমে বাঁকখালীর জমি উদ্ধারে এসিল্যান্ডের অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়। সংবাদে ওই স্থানে খতিয়ানভুক্ত জমির মূল মালিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। জানা যায়, আলমগীর বাঁকখালীর জমি দখল করে প্যারাবন কেটে নদী থেকে বালু তুলে ভরাট করে। তারপর নদীর জমি মোটা অংকের টাকা দিয়ে পেশকার পাড়ার মোহাম্মদসহ বিভিন্ন জনকে বিক্রি করে।

এদিকে জমির মূল মালিক জরিনা খাতুনের পুত্র আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাঁকখালীর জমি উদ্ধারে এসিল্যান্ডের অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু তা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য আলমগীর আমাদের নামে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। মূলতঃ আমার নানা মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুতে আমার মা জরিনা খাতুন ওয়ারিশমূলে বি,এস সৃজিত ২০৯৩ খতিয়ানে এক একর জমি চূড়ান্ত হয়। আমার মা জরিনা খাতুনের মৃত্যুতে আমরা ৩ ভাই ২ বোন ওয়ারিশমূলে ওই জমির মালিক হই। সেই থেকে আজ অবদি শান্তিপূর্ণভাবে আমরা ওই জমি ভোগদখলে আছি।

আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, আমার মামা আলমগীরের পিতা আবু বক্কর ছিদ্দিক মরণে তার জমির ওয়ারিশ হয় ৯ ছেলে ও ৬ মেয়ে। তারমধ্যে ওই জমির পরিমাণ ১৪ ভাগে বিভক্ত হয়। কিন্তু আলমগীর তার ভাই—বোনদের বাদ দিয়ে ৪টি দাগে নিজেই ৬৪৭৭ খতিয়ান সৃজিত করে। তারমধ্যে ১০০৬৫ দাগে ১৬ শতক ও ১০০৭০ দাগে ০৬৬৬ শতক জমি আলমগীর খতিয়ানমূলে জমিপ্রাপ্ত হয়। আলমগীর ১০০৬৫ ও ১০০৭০ দাগের মোট ২২ শতকের মধ্যে শহীদুল ইসলাম, নাজমা বেগম, আবুল মোতালেব ও আসমা আক্তারকে ৮ শতক জমি বিক্রি করে। তারা ওই ৮ শতক জমির ৬৭৭২ নং খতিয়ান করে ফেলে। তাছাড়া রমজান আলীকে ৪ শতক জমি বিক্রি করে। যার খতিয়ান নং—৭২৬২। এছাড়া তপন ধরকে ৪ শতক জমি বিক্রি করে। যার খতিয়ান নং—৭২৬১। বাদশা মিয়া, আল ওয়াজেদ বিন সজিতকে ৪.৬৬ শতক জমি বিক্রি করে। যার খতিয়ান নং—৭৮৩৩। অনিল কান্তি দেকে বিক্রি করে ৪ শতক। যার খতিয়ান নং—৭২০৯। তাছাড়া পেকুয়ার সওয়ার আলমকে ২ শতক জমি বিক্রি করে আলমগীর। যার খতিয়ান নং—৮১৭৯। এর আগেও আলমগীর বানু, হাঞ্চু, হাসান, হারুন ও মাহমুদুল হককেও জমি বিক্রি করে। কিন্তু এখনো আলমগীর তাদের রেজিস্ট্রি দিতে পারেনি। আলমগীর ওয়ারিশসুত্রে প্রাপ্ত জমি এসব ব্যক্তিদের বিক্রি করে নিস্বত্ববান হয়ে যায়।

আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ভূমিদস্যু আলমগীর খুরুশকুল সুলতান মাঝি হত্যা মামলার (এফটি ৪৩৫/২০১১) প্রধান আসামী আলমগীর আমাদের ভোগদখলীয় জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠে। যার অংশ হিসেবে সে জমি দখলে নানা হুমকী—ধমকী, হামলা, মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে।

জাকারিয়া আজাদ ও সাইফুল হক নামের দুজন জমির মালিক বলেন, আলমগীর অহেতুক আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।