কক্সবাজার সদর হাসপাতালের অনিয়ম দূর্নীতি: তদন্তে আলোর মুখ দেখছেনা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে সিন্ডিকেট ভিক্তিক অনিয়ম দূর্নীতির কোন তদন্তই আলোর মুখ দেখছেনা। গত দেড় বছরে এ তদন্তের অগ্রগতিও হয়নি মোটেও।অভিযোগকারী ও স্বাক্ষীরা বলছেন,যেখানে তদন্তই শুরু হয়নি সেখানে অগ্রগতি প্রশ্ন আসে কেন? দূর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রানালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রশাসন-১ অধিশাখা কতৃর্ক সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ শাহাদত হোসেন কবির স্বাক্ষরিত গত ২৮/১১/১৯ ইং অভিযােগ তদন্তে মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদফতর মহাখালী ঢাকা বরাবরে তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।মন্ত্রাণালয়ের সচিব স্বাস্থ্য অধিদফতর সহ দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগটি করেছিলেন সদর উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের ধর্মেরছড়ার এক সেবাপ্রার্থীর নিকট আত্নীয়।

তার অভিযোগ জেলা সদর হাসপাতালের অসাধু সিন্ডিকেট এমসি রিপোর্ট জালিয়াতি ও অসদুপায়ে নানা হয়রানি সহ ভাণ্ডার থেকে মূল্যমান ঔষধ গায়েবের অভিযোগ করা হয় ঐ আবেদনে।তার আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্মারক নং-সুপার কক্সবাজার / হাসপাতাল/ প্রশাসন / ২০১৭ নং ১২৬৬/৩০/০৭/২০১৭ মূলে স্বাস্থ্য অধিদফতর বিভাগীয় পরিচালক ( স্বাস্থ্য)চট্রগ্রাম বিভাগ চট্রগ্রাম কে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।কতৃপক্ষ এ তদন্তের জন্য গত ২৮ শে নভেম্বর ২০১৯ স্মারক নং ৪৫ মূলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কতৃর্ক কমিটি গঠন করার জন্য পরিচালক স্বাস্থ্য চট্রগ্রাম বিভাগ চট্রগ্রামকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।অদ্যাবধি কমিটি গঠনের পর থেকে ঐ অভিযোগের তদন্তের কোন ব্যবস্হা নেয়া হয়নি চট্রগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে।

এ কারণে ভুক্তভোগীরা অাদৌ তদন্ত হবে কিনা সংশয়ে রয়েছেন। তাদের দাবী অভিযোগটি তদন্ত করা হলে অভিযোগকারী ও স্বাক্ষীদের পত্র দিয়ে তা অবগত করা আবশ্যক ছিল।কিন্তুু অধিদফতরের চট্রগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের তদন্তের আগ্রহ কম।অভিযোগকারী স্বাক্ষীরা এও বলছেন, বিভাগীয় শাখায় গোঁড়ায় গলদ থাকলে তদন্ত হবে কোথেকে। তাছাড়া একই দপ্তরের তদন্তটিম কে দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট ম্যানেজ করার শংকাও থেকে যাচ্ছে। সদর হাসপাতালের ঐ অসাধু সিন্ডিকেটের নানা তত্ত্ব স্হানীয়, আঞ্চলিক, জাতীয় দৈনিক সহ একাধিক অনলাইনে সংবাদও প্রকাশিত হয়।এসব অভিযোগ দূর্নীতি দমন কমিশনেও উপস্হাপন করা হয়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে দূদক অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদ করলেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অবহেলায় তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্হা গ্রহন করা যাচ্ছে না।অধিদফতরে প্রেরিত ঐ অভিযোগে সদর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ,বাগানমালী মাঈন উদ্দিন, অফিস সহকারী এস্তাফিজুর রহমান,প্রধান সহকারী তুষার পাল,ওয়ার্ড মাষ্টার নোমান ও ষ্টোর কিপার কালাম মোস্তাসিন সহ আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে সুনিদৃষ্ট অভিযোগ দাড়ঁ করা হয়।তদন্তটিম গঠনের গত দেড় বছরে অভিযুক্তদের কাউকে তেমন কোন জিঙ্গাসাবাদ করা হয়নি চট্রগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে।এবং আবেদনে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে যে কোন ধরনের গোপন তদন্তও ফাইল বন্ধি হয়ে পড়ে রয়েছে তাদের কাছে।

এছাড়াও করোনাকালে অভিযোগ তদন্তে পদক্ষেপ নেয়া না গেলেও এর পরবর্তী গত ৩ মাসে সিন্ডিকেট ভিক্তিক দূর্নীতি তদন্তহীন রয়েছে। তদন্তটিমের এমন রহস্যজনক নিরবতায় সিন্ডিকেট ভুক্তরা আরো দ্বিগুণ অনিয়ম দূর্নীতি চলমান রেখেছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই সদর হাসপাতালে।অভিযোগকারীর দাবি এ তদন্ত শুধু আমার নয়, পুরো জেলার সেবাপ্রার্থীদের।জেলাবাসী ও অভিযোগকারীর দাবি মতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এটির তদন্ত করলে সকল ধরণের অনিয়ম দূর্নীতি সহ হয়রানির হাত থেকে সাধারণ মানুষ রক্ষা পাবে পাশাপাশি কক্সবাজার জেলার একমাত্র সরকারি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার পূর্বের ঐতিহ্যও ফিরে আসবে।