কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের বাঁকে বাঁকে অজস্র দোকানপাট: প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা
রফিক উদ্দিন বাবুল ■ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া টেকনাফ সড়কের বাঁকে বাঁকে শতসহশ্রাধিক অপরিকল্পিত দোকানপাঠ গড়ে তোলা হয়েছে। এসব দোকানের সংখ্যা এতই বেড়ে গেছে যে, বাঁকে বাঁকে যেকোন সময়ে মারাত্মক সড়ক দূর্ঘটনা আশঙ্কা রয়েছে।
যেহেতু এসব দোকান পাঠে মাদকদ্রব্য বেচাকেনা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিপুর্বে সড়ক ও জনপদ বিভাগ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব অবৈধ দোকান পাট উচ্ছেদ করলেও সপ্তাহের ব্যবধানে সেই পুরানো চেহারা আবারও ভেসে উঠতে দেখা যায়। এলাকার সাবেক মেম্বার মৌলভী গফুর উল্লাহ জানান, সড়কের উভয়পাশে বেপরোয়া ব্যবসা প্রতিষ্টিান গড়ে তোলার কারণে কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক যানজটের নগরীতে পরিনত হয়েছে।
ঘটনাস্থল উখিয়া সদরের এক কিলোমিটার মহুরীপাড়া থেকে পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী পর্যন্ত প্রায় সহশ্রাধিক অবৈধ দোকানপাঠ গড়ে তোলা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা এসব দোকানের ছবি ধারণ করতে গেলে ১০/১২ জন রোহিঙ্গা তেড়ে আসে। তাদের দাবী ছবি তুলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হলে প্রশাসন তাদের দোকানপাঠ গুলো উচ্ছেদ করবে। তাই এ দোকানের ছবি তুলতে দেওয়া হবে না। অবশ্য পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ছবি ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অব:প্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক বিপিন বড়ুয়া অভিযোগ করে জানান, অধিকাংশ দোকানের মালিক রোহিঙ্গা নাগরিক। যদিওবা জমি বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে তথাপিও এখানে বনকর্মীদের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই। যেহেতু বন বিট কর্মকর্তা আগে ভাগেই ম্যানেজ হয়ে গেছেন বলে আরো বেশ কয়েকজন সচেতন নাগরিক তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
উখিয়া বনবিভাগের দায়িত্বরত বনবিট কর্মকর্তা বজলুর রশিদের উৎকোচ বাণিজ্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। তার সাথে রয়েছে স্থানীয় ভিলেজার নামধারী টাউট বাটপার। স্থানীয়দের নাম প্রকাশ না করার শতেূ বলেন, এ বিটকর্তাকে শায়েস্তা করা না হলে উখিয়ার বনভুমি বেদখলে চলে যাবে।মানবাধিকার কর্মী বেলাল খান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বনবিভাগ সংলগ্ন সড়ক দখল করে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা
দোকান গুলোতে রাতের বেলায় জমজমাট মাদক বেচা কেনা হয়। কী ধরনের পণ্য লেনদেন হয় জানতে চাওয়া হলে ওই নেতা বলেন, নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রির কারণে এখানে যুবক শ্রেণির আড্ডায় এলাকা সরগরম হয়ে উঠে। মাঝে মধ্যে নেশাখোরদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটে থাকে।
বলাবাহুল্য বালুখালী ক্যাম্পে মৌলভী আব্দুল গফুর নামের একজন সাবেক মেম্বার তার নিজের জোত জমির উপর দোকান ঘর নিমার্ণের ব্যাপারে অনুমতি চাইতে গেলে প্রশাসন সরাসরি তার আবেদন নাকচ করে দিয়ে বলেন, ক্যাম্পের ভিতরে কোন দোকানপাট বা ব্যবসা বাণিজ্য করা
যাবে না।
উখিয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মোঃ শফিউল আলম জানান, অল্প সংখ্যক লোকবল নিয়ে
বিশাল জনগোষ্ঠীর দখলদারিত্ব ঠেকানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তথাপিও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য উর্ধতনের কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে শীঘ্রই যৌথবাহিনীর মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, ইতিমধ্যে সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাট গুলোর উদ্ধৃত অংশ লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সড়ক সম্প্রসারণ ও যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।