কক্সবাজারে পুলিশের সাড়াশি অভিযানে মুন্না বাহিনীর প্রধানসহ ২৩ জন গ্রেফতার

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২২

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ;

কক্সবাজারে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের সাড়াশি অভিযানে শহরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মুন্নাসহ ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের জানিয়েছেন তারা শহরে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এদের মধ্যে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মুন্নার বিরুদ্ধে কক্সবাজারে ১৯টি মামলা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে কক্সবাজার শহরের পাহাড়ী অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পুলিশের হাতে আটক মুন্না কক্সবাজার সদরের বাঁচামিয়ারঘোনা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

জানা গেছে, সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর প্রধান মুন্নার বাড়ি কক্সবাজার সদরের রুমালিয়ারছড়ার বাঁচামিয়ারঘোনা এলাকায়। এক সময়ের শহরের আতঙ্ক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর জোহারের সন্ত্রাসী বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করতেন মুন্না। তারা শহরের পাহাড়তলী, এবিসিঘোনা, বাঁচামিয়ারঘোনা, সাহিত্যিকাপল্লী, রুমালিয়ারছড়াসহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় ছিনতাই, মাদক কারবার, জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। পরে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর কক্সবাজার সদরের পৌর এলাকার দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লী সমিতি বাজারের পাশে ব্রিজের নিচ থেকে নুর জোহারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নুর জোহারের মৃত্যুর পর রুমালিয়ারছড়ার আরেক সন্ত্রাসী রশিদ ড্রাইভারের ছেলে আবছারের সাথে নতুন সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেন মুন্না। কিন্তু সেই বাহিনীও টিকেনি। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে ২০২১ সালের শুরুর দিকে আবছারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে নতুন বাহিনী গড়ে তুলে মুন্না। তবে গত মাস দুয়েক আগে সন্ত্রাসী আবছারকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে আবছার কারাগারে রয়েছে।

এদিকে আবছারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর নতুন বাহিনী গড়ে তুলতে ছালেহ আহমেদ, হাবিবুল্লাহ, খাইরুল আমিনসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মুন্নাকে সঙ্গ দেয়। তাদের সহযোগিতায় প্রায় ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে মুন্না। এরমধ্যে দুই মাস আগে খাইরুল আমিন পুলিশের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।