একাত্তরের এই দিনে গঠন হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২১

ডেস্ক রিপোর্ট:

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ীর বেশে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তারা একের পর এক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত করে পাকিস্তান সেনাদের ফাঁদে ফেলার কৌশল অবলম্বন করতে থাকে। এদিনে ভারতীয় পূর্বাঞ্চল কমান্ডার লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার অধিনায়কত্বে ঘোষিত হয় বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ কমান্ড। ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী এবং বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত হয় মিত্রবাহিনী। ওইদিন গভীর রাতেই মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মুক্ত এলাকায় অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয়।

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কলকাতার এক জনসভায় ভাষণ দেন। ভারতের বিমানবাহিনীর স্থাপনা ও রাডার স্টেশনগুলোতে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান বিমান বাহিনী। এতে করে ভারতজুড়ে জারি হয় জরুরি আইন। সে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্তপর্ব।

যৌথবাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে যশোর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর জেলার আরও কয়েকটি থানা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায় গঠিত মিত্রবাহিনী, দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধরত বাংলাদেশের সশস্ত্র ও মুক্তিবাহিনীর সহায়তায় এই সময়ে মিত্রবাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় নবম ডিভিশন গরীবপুর-জগন্নাথপুর হয়ে যশোর-ঢাকা মহাসড়কসহ চতুর্থ ডিভিশন ষষ্ঠ ডিভিশনের বেশ কয়েকটি এলাকায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

কেবল যশোর-কুষ্টিয়া দখলই নয়; তখন যুদ্ধ ও কৌশল দুটোই বেগবান হয়েছে। কুমিল্লায় মেজর আইনউদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী মিয়াবাজারে পাকসেনাদের ওপর হামলা চালায়। ভারতীয় আর্টিলারি বাহিনীর সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধারা মিয়াবাজার দখল করে নেন। আখাউড়ার আজমপুর স্টেশনে দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দিনভর যুদ্ধ চালিয়ে যায়। সিলেটের ভানুগাছায় পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরিস্থিতি তখন চূড়ান্ত বিজয়ের পথে নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশকে।

 সীমান্তবাংলা/রম/০৩ ডিসেম্বর ২০২১