এই সে টিনের ছাওনি গতকাল আশ্রয় নিয়েছিল বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন‍্য বাড়ি ফেরা হলো না কারো

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২১

 

পারভেজ মামুন”চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

এই সে টিনের ছাওনি।।
গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন মানুষ এই টিনের ছাওনির নিচে আশ্রয় নিয়েছিল বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য।। টিনের ছাওনির আসেপাশে কোন গাছপালা নেই একেবারে ফাকা যায়গা।। সবাই ঠাসাঠাসি করে এই ছাওনির নিচে ছেলে মেয়ে বয়স্ক বৃদ্ধ সকলেই দাঁড়িয়ে আছে এখানে।। হটাৎ একবার জোড়ে বিদ্যুৎ চমকালে সবাই কিছু টা আতংকিত হয় তার ১০ মিনিট পড়ে আবার সেম ভাবে জোড়ে চিলিক মেরে বিজলি পড়ে এই ছাওনির উপর।। যেমন বিজলি পড়া ৪০ জন মানুষের ভিতর ৩৫ জনই মাটিতে পড়ে যায় গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।। বাকি যে কয়জন ছিল তারা কাকে ধরবে যে দিকে তাকাই সে দিকেই সবাই চিত হয়ে শুয়ে আছে।। এই বাকি কয়জন এই দৃশ্য দেখে হাওমাও করে কেঁদে চলেছেন।। আর কি বা করার আছে তাদের তার পরেও যে কয়জন নরাচড়া করছিল তাদের কে একটু সেবা দিয়ে বাঁচিয়ে এনেছে কিন্তু আনতে পারেনি সবাই কে।। এমন ভাবে কেঁদে কেঁদে কথা গুলি বলছিলেন আমাদের একজন এডমিন কে সে নৌকার একজন বরযাত্রী আব্দুল মালেক।। তিনি আরও বলেন আমাদের পায়ে সেন্ডেল ছিল কিন্তু অনেকের পায়ে সেন্ডেল ছিল না।। যারা পড়ে আছে তাদের কারও পায়ে সেন্ডেল ছিল না কারণ নৌকা থেকে সেন্ডেল হাতে করে নেমে দৌড় দিয়ে টিনের ছাওনির নিচে সবাই চলে গিয়েছে বৃষ্টি এসেছে তাই।। আর এসে কেউ কেউ সেন্ডেল হাতেই ধরে আছে কেউ কেউ পায়ে দেইনি।। এখানে একটি জিনিস দেখা গেল যারা মারা গিয়েছে তাদের কারও পায়ে সেন্ডেল ছিল না আর যারা জীবিত রয়েছে বা আহত হয়েছে তাদের পায়ে সেন্ডেল ছিল।। তার মানে বিদ্যুৎ চমকালে সেন্ডেল পায়ে দিতেই হবে মাস্ট।। আপনি যেখানে থাকুন না কেন বিদ্যুৎ চমকালে সাথে সাথে সেন্ডেল পায়ে দিবেন।। প্রিয় পাঠক,, গতকাল থেকে অনেক পেপার পত্রিকা মিডিয়ায় দেখে আসলাম যে এই ভাবে বিজলী পড়ে এক সাথে এত মানুষ কোথাও মারা যায়নি এটাই প্রথম।। এই করুণ মৃত্যু সবাই কেই আহত করেছেন।। তাদের মৃত্যু হয়ত মহান আল্লাহ তায়ালা এই ভাবেই লিখে রেখেছিলেন।আল্লাহ তাদের সকল কে জান্নাতবাসী করুন আমিন।

সীমান্তবাংলা / ৫ আগষ্ট ২০২১