উখিয়া উপজেলার প্রতিনিয়ত আবর্তিত সমাস্যা সমুহ ও জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় স্থানীয়দের বিড়ম্বনা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া উপজেলা যেন সমাস্যার আবর্তে ঘূর্ণায়মান একটি জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি। এখানে সমাস্যার যেন অন্ত নেই। দিনে দিনে সমাস্যাগুলো মহীরুহ আকার ধারন করছে। এত বড় জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকাকে সুচারু রুপে নিয়ন্ত্রন করা ও সমাস্যা সংকুল পরিবেশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া রীতিমত কঠিন ও দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে এবং জনপ্রতিনিধি ও সর্বসাধারনের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুরত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখানে ‘অনিয়মই নিয়ম, অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই যেন অন্যায়’ এ পরিনত হয়েছে।অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য, একচেটিয়া কনস্ট্রাকশন বাণিজ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর উর্ধ্বমুখী লাফানো ঘোড়া,শ্বৈরতান্ত্রিক টেন্ডার বাণিজ্য, একচেটিয়া সাপ্লাই চেইন বাণিজ্য, ইয়াবা বাণিজ্য, সিন্ডিকেট বাণিজ্য, হাট-বাজার ইজারা বাণিজ্য, বালুমহল বাণিজ্য, প্রাকৃতিক পেরেক খ্যাত পাহাড় কেটে উজাড় করা বাণিজ্যসহ কত শত বৈধ বা অবৈধ বাণিজ্যের ছড়াছড়ি এ জনপদে বলাই বাহুল্য।

এখানে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে সম্মিলিত উদ্দ্যোগ নেই, নেই উখিয়া উপজেলার মুল সমাস্যাগুলো চিহ্নিত করে সামগ্রিকভাবে অত্র উপজেলার প্রায় চার লক্ষ স্থানীয় জনসাধারনের ভাগ্যোন্নয়নে তেমন কোন ‘কনস্ট্রাক্টিভ ইন্টেগ্রেটেড এন্ডেয়েভর’। উপজেলার সাধারন মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, অনেক ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসমুহ মিলে সম্মিলিত উদ্দ্যোগ নিলেও যেকোন এক পক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতার কারনে মহতি উদ্দ্যোগ গুলোর সঠিক বাস্তবায়ন মুখ থোবড়ে পড়তে দেখি বারংবার। আবার উভয় পক্ষের সম্মিলিত সাহসী উদ্দ্যোগগুলো উভয় পক্ষের পারফেক্ট কম্বিনেশন ছাড়া এক পক্ষ কর্তৃক সঠিকভাবে সমাধান করা ও বাস্তবায়ন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই অনেকক্ষেত্রে অনেক বড় বড় পরিকল্পনা ও উদ্দ্যোগ সমন্নয়হীনতার কারনে সুষ্টভাবে বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন ও দুরুহ হয়ে পড়ে। তাই উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির যৌথ ও সম্মিলিত প্রয়াসে দলীয় ও ক্ষুদ্র স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে, দেশ ও দেশের মানুষের বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে সমাস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য এগিয়ে না আসলে পরিকল্পিত উখিয়া বিনির্মাণের স্বপ্ন সাধ অচিরেই ধুলায় মিশে যাবে, বৈকি !

মায়ানমারের পার্শ্ববর্তী আরাকান ও অন্যান্য রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিংগা জনগোষ্টীকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের ফলে উখিয়ার হাজার হাজার একর বনভুমি কেটে সাবাড় করা হয়েছে। অত্যধিক জনসংখ্যার বাড়তি চাপ সামাল দিতে শত শত ঘর বাড়ি, বড় বড় দালান-কোঠা, হাই রাইস বিল্ডিং গড়ে উঠছে কৃষিযোগ্য সমতল ফসলী জমি ভরাট করে, যার মাটিগুলোর উৎস ও যোগানদাতা হিসেবে সরকারি/বেসরকারি পাহাড় নিধনে চলছে রীতিমত মহোৎসব। ডাম্পার যোগে মাটি পাচার, ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, এসব ব্যবসার একচেটিয়া সুবিধাভোগী একশ্রেণির সিন্ডিকেট। রীতিমত ধ্বংসস্তূপে পরিনত করেছে প্রাকৃতিক পেরেক খ্যাত প্রাকৃতিক পাহাড়সমুহ।

এমনিতে সূর্যের আলো প্রকট হওয়ার কারনে এন্টাক্টিকা মহাদেশের জমায়িত বরফগুলো গলে গিয়ে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে অবিরত। সাথে রয়েছে গ্রীন হাউস এফেক্টের কারনে ওজোন স্তর হ্রাস, শিল্প-কল-কারখানার উদ্গ্রীত ধোঁয়ায় সারা বিশ্বের পরিবেশ ও প্রতিবেশকে অতিমাত্রায় হুমকির মুখে পতিত করার হাজারো সমাস্যার কথা। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে নগর ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে আগামী এক দশকে বাংলাদেশের সমুদ্রোপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকাসহ মোট আয়তনের এক দশমাংশ ভূমি সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যাবার আশংকা রয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও বেখবর ও উদাসীন এসব গুরুত্বপুর্ণ খবরে!আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছি একটি অসম, অসামাঞ্জস্য, দূষিত, অনিয়ন্ত্রিত স্বাপদসংকুল পৃথিবী, যে পৃথিবীর মানব সন্তানরা আমাদেরকে ক্ষমা করবেন না কস্মিনকালেও!

কথিত আছে, উখিয়ায় গোপন আঁতাতে খাস কালেকশনের নামে অনুমোদিত ৬ টি রোহিঙ্গা বাজার ইজারা প্রদান করে কোটি কোটি টাকা একটি চিহ্নিত স্বার্থান্বেষী মহলের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের কিছু সুবিধাবাদীমহল ও দুষ্কৃতকারী ব্যক্তিবর্গ এহেন জঘন্য কাজ করে পার পেয়ে যাবে স্বাধীন গনতান্ত্রিক এই বাংলাদেশে? তা কিভাবে সম্ভব? অবকাঠামো নির্মাণের নামে বিভিন্ন সড়ক, কাবিকা, সরকারি ও এনজিও/আইএনজিও কর্তৃক বরাদ্দকৃত অবকাঠামোগত উন্নয়ন মুলক কাজে শত শত কোটি টাকার কাজ নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নয় ছয় করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার খবরও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।

বনায়নের নামে নির্দিষ্ট গোষ্টি কর্তৃক লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট, হাট-বাজারকে সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিয়ে দ্রব্য মূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতি সৃষ্টি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর দাম সাধারনের ক্রয় সীমানার বাইরে নিয়ে গিয়ে হক হালালী আয়ের মানুষগুলোকে রীতিমত তুষের আগুনে পোড়াচ্ছে! উঠতি বয়সী যুব সমাজের হাতে মরণ নেশা ইয়াবা চলে যাওয়ায় এতদ অঞ্চল নয় শুধু সারাদেশের তরুন সমাজকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছে। অতি সহজে কোটিপতি হবার স্বপ্নে বিভোর উঠতি যুব সমাজ, ইয়াবা বাণিজ্যে নিজেদেরকে জড়িয়ে এখন এখানে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ইয়াবা ট্রেডের ছড়াছড়ি। যেখানে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও অনেক মুখোশধারী সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাধারন জনতা ও যুব সমাজের মধ্যে কৌশলে মরণ নেশা ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে যুব সমাজ ও জাতিকে শুধু ধ্বংসই করেনি, অধিকন্তু জাতিকে মেধাশুন্য করে মেধাহীন জাতিতে পরিনত করার গভীর ষড়যন্ত্রও হচ্ছে সু-কৌশলে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে মাদক ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে হলে অতি শীঘ্রই রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ যদি গুরুত্বের সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতি উপলব্ধি করে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এগিয়ে না আসেন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন চৌকস বাহিনীর সমন্বয়ে মাদক বা ইয়াবা নির্মূলে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ না করেন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মরত কর্তাব্যক্তি ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক নির্মূলে ঝটিকা অভিযান বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অথবা দৃশ্যমান প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে সমাজ ও দেশ কে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসবেন, এমন প্রত্যাশা দেশের সুশীল নাগরিক সমাজ ও আপামর জনসাধারনের ।

অনেক দিন পরে, ইতিমধ্যে জন্ম নিবন্ধন সার্ভার খুলে দেওয়া হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে স্থানীয়দের কত ধরনের অব্যবস্থাপনা, হয়রানী ও নাকানী-চুবানী খেতে হচ্ছে, ভোক্তভোগী মাত্রই ওয়াকেফহাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে সাধারন জনগন যে পরিমান ভোগান্তির শিকার হয়েছে, ভোক্তভোগীরা দ্বিতীয় বার চিন্তা করবেন, নতুন ইস্যু (সন্তান) নিবেন কিনা অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন করতে যে পরিমান হয়রানী ও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন, উক্ত সন্তানের সম্মানীত মা-বাবা দ্বিতীয়বার সন্তান নিবেন কিনা সেই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে অনেকবার চিন্তা করবেন!

এখানে প্রসংগত উল্লেখ্য যে, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে যারা উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা হিসেবে বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছেন, যেকোনভাবে উক্ত জন্ম নিবন্ধনে তাদের অন্তর্ভূক্তির পথ বন্ধ করার জন্য যত ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে স্থানীয় সাধারন জনগনের উপর। এই ক’দিনে স্থানীয় জনগন জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে অনেক রকমের হয়রানীর শিকার হয়েছেন।এখানে যত ধরনের চেক এন্ড ব্যালেঞ্চ করা হয়েছে, তারমধ্যে স্থানীয় চৌকিদার/গ্রাম পুলিশ থেকে শুরু করে, জন প্রতিনিধিদের আইডেন্টিফিকেশন সাইন প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু যারাই আইডেন্টিফিকেশন করবেন তাদেরকে কোনভাবেই একই স্থানে বা বারবার তাগাদা দেবার পরেও পাওয়া যায়না, পাওয়া গেলেও বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানী করার কথাও ভোক্তভোগীরা অতীব দুঃখের সাথে জানান।

অনেকেই অভিযোগ করেছেন, যারা আইডেন্টিফিকেশন করবেন, তারা তাদের গুরুত্ব সর্ব সাধারনে তুলে ধরার জন্য বা ‘দু’পইস’ উৎকোচ আদায় করার জন্য, ইচ্ছে করেই প্রয়োজনীয় মুহুর্তে তাদেরকে বাসা-বাড়ি, আশে পাশে কোথাও পাওয়া যায়না। আর নানা রকমের লেনদেনের কথা যেমন শুনা যাচ্ছে তেমনি অনৈতিক সুবিধা পাবার আশাও অনেকে জিইয়ে রাখার খবর পাওয়া গেছে।
কিন্তু অতীব দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, যাদের অন্তর্ভূক্তির কথা চিন্তা করে এত সতর্কতা, এত কড়াকড়ি, এত এত শর্ত আরোপ করা হয়েছে, সেই রোহিংগারা ঠিকই অনেক চ্যানেল মেইন্টেইন করে তাদের সন্তান সন্তুতিদের জন্ম নিবন্ধন করে রীতিমত দেশের নাগরিক হবার সোপান একধাপ এগিয়ে নেবার সুযোগ প্রাপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য এ কাজে দেশীয় স্বার্থান্বেয়াষী মহল, অনেক জনপ্রতিনিধি অনেক বড় বড় সিন্ডিকেট, অনেক টাকার বাজেট হাতিয়ে নিয়ে এসব কাজে লিপ্ত হবার খবর ও পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশের নাগরিকের সন্তান-সন্তুতি বা শিশুদের জন্ম নিবন্ধন পাওয়া আপনার শিশুর মৌলিক অধিকার। ন্যায়সঙ্গতভাবে আপনি জন্মনিবন্ধনের আবেদন করবেন এবং তা প্রদান করতেও সরকার বাধ্য।
জন্ম নিবন্ধনের জন্য সরলীকৃত জটিল কাজ গুলো নিম্নরুপঃ
প্রস্তুতি পর্বঃ
১. শিশুর টিকার কার্ড এন্ড সত্যায়িত ফটোকপি
২. শিশুর বাবা-মা’র জাতীয় পরিচয়পত্র এন্ড সত্যায়িত ফটোকপি
এরপরঃ
জন্মনিবন্ধন ফরমের প্রথম পৃষ্টায় তথ্যগুলো দিতে হয় এবং দ্বিতীয় পৃষ্টায় ৬ নাম্বার পয়েন্টে টিকাদাতা (স্বাস্থ্য সহকারি) এন্ড গ্রাম পুলিশের সীলসহ সাক্ষর নিতে হয়।
অতঃপর
৭ নাম্বার পয়েন্টের প্রথম দুটো ঘরে সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং ইউপি সদস্যের সীলসহ সাক্ষর নিতে হয়।
এরপর ফরমটি ইউপি কার্যালয়ে জমা দিতে হয়। ৫ বছরের কম বয়সী যেসকল শিশুর টিকার কার্ড আছে, তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্যে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সহকারি/টিকাদানকর্মী এন্ড সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাহেবকে নির্দেশনা দেয়া আছে, কিন্তু প্রয়োজনে কাছে পাওয়া যায়না।
ফুটনোটঃ
১. আপনার শিশুর বয়স ৫ বছর অতিক্রান্ত হলে কিংবা টিকার কার্ড না থাকলে পরবর্তী সরকারি নির্দেশনার জন্যে অপেক্ষা করুন।
২. ১ম শ্রেণির সরকারি অফিসারগণ “মূলকপি” দেখে “সত্যায়ন” করতে পারেন।
৩. জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম খুব দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে এমন গুজবে কান দিবেন না। জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে অস্পষ্ঠতা দুর করতে উপজেলা পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

উপরোক্ত শর্তাবলী ও নিয়ামাবলী ছাড়াও আরও অনেক অপূরনীয় শর্ত রয়েছে- বারবার কষ্ট পেয়েও জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবার শত চেষ্টা করেও অনেকেই জটিল শর্তগুলো পুরণ করতে না পেরে ফিরে যাবার খবরও পাওয়া গেছে। অধিকন্তু, ফিংগার প্রিন্টের মাধ্যমে মা-বাবা, প্রয়োজনে চাচা, ফুফু প্রভৃতি রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দেরও আইডেন্টিটি নিয়ে, জটিল শর্তগুলো শীতিল করে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে আরো সহজ, ইউজার ফ্রেন্ডলী করে করতে পারলে সাধারন মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হতো বৈকি। আবার রোহিংগা ও মরণ নেশা ইয়াবা সমাস্যায় জর্জরিত উখিয়া উপজেলা যেন রোহিঙ্গাদের জন্য একটা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। যেকোন মুহুর্তে এ আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরন ঘটলে উখিয়া টেকনাফ তথা পুরো দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তাই জটিল সমাস্যা জিইয়ে না রেখে ধাপে ধাপে এক একটি সমাস্যার সমাধান করার জন্য দ্রুত এগিয়ে এসে দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার আহবান জানাচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

এম আর আয়াজ রবি।
(লেখক, কলামিষ্ট ও মানবাধিকারকর্মী)
সীমান্তবাংলা/ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০