উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আসছে একের পর এক অভিযোগ। যেন অভিযোগের শেষ নেই।
ওয়ার্ড সম্মেলনের অনেক আগে থেকে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কাউন্সিলর তালিকায় বিএনপির সক্রিয় সদস্যকে অন্তভূক্ত করা, ত্যাগী ও প্রবীণ নেতাকর্মীদের কাউন্সিলর না করা, নিজেদের বলয় শক্তিশালী করতে অল্পবয়সী স্বজনদের কাউন্সিলর তালিকায় অন্তভূক্ত করা, কমিটির মৃত সদস্যদের স্থলে বর্ধিত সভা কিংবা কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত ও রেজুলেশন ছাড়া অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে নিজেদের ইচ্ছে মত সদস্য অন্তভূক্ত করা সহ নানা অভিযোগ করে আসছিলো রত্নাপালং ইউনিয়নের তৃর্ণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এসব বিষয়ে তৃর্ণমূল নেতাকর্মী জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত উখিয়া-টেকনাফের সাংগঠনিক টীম বরাবর অভিযোগ করলে পরে উক্ত সাংগঠনিক টীম অভিযোগের বিষয়ে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, শুনানির নামে একধরণের প্রহসন করেছেন। এতে তৃর্ণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ এই প্রহসনের শুনানিকে একপ্রকার প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অভিযোগের সূত্রধরে হাতে আসা কিছু কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ বছরের ২৩ এপ্রিল তারিখে রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আছহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর স্বাক্ষরিত ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তালিকায় ১৩নং সদস্য মৃত আলী হোসেনের ছেলে বদিউল আলম, ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর তারিখে রত্নাপালং ইউনিয়ন বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক খাইরুল আলম চৌধুরী, আহবায়ক আব্বাস উদ্দিন কনট্রাকটর সহ অন্য দুই সদস্যের সাক্ষরিত ২নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটির ৩১নং সদস্য। এই কমিটির কিছু কাটছাঁট করে ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর পুনরায় বহাল রাখেন।
এ বিষয়ে জানতে রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আছহাব উদ্দিন মেম্বারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাংগঠনিক টীম প্রধান রাজ শাহ আলম, আদিল উদ্দিন চৌধুরীর উপস্থিতি দেওয়া নির্দেশ মতে আমরা কাজ করেছি। তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর করার দায়িত্ব ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকে দিয়েছেন। আমরা কেবল স্বাক্ষর করেছি মাত্র।