উখিয়া জালিয়া পালং এর বাইলাখালী এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হামলায় বসত-বাড়িতে ভাংচুর লুটপাট

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩

 

টেকনাফ প্রতিনিধি,

উখিয়া জালিয়া পালং ইউনিয়নের বাইলাখালী এলাকার অসহায় রহিমা খাতুনের বসত-বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা বসত-বাড়ির আসবাবপত্র ও আলমারি এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ভাংচুর চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট করে।
১০ মার্চ শুক্রবার, সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় উখিয়া জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড,
বাইলাখালী এলাকার অসহায় রহিমা খাতুনের
বসত- বাড়িতে স্থানীয় বাইলাখালী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারীরা হামলা-লুটপাট চালিয়েছে। এঘটনায় ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন,
অসহায় রহিমা খাতুন।
এজাহার সুত্রে জানা যায়,৩০-৩৫ জনের বাড়াটিয়া একটি দল দা, কিরিচ লাঠি, রড ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আকস্মিকভাবে জালিয়াপালং ইউনিয়নের বাইলাখালী এলাকার মোহাম্মদ উল্লাহর জামাই মাদক কারবারি নুরুল আলম, একই এলাকার মৃত মো.কালুর পুত্র শীর্ষ মাদক কারবারি মোহাম্মদ উল্লাহ, মো. আলমের পুত্র মো. সেলিম,
মোহাম্মদ উল্লাহর পুত্র ছৈয়দ নুরের নেতৃত্বে অসহায় রহিমা খাতুনের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর শুরু করে। হামলাকারিরা বাড়ির দরজা,বাড়ির আসবাবপত্র, আলমারি ভাংচুর করে এবং বাড়ির সদস্যদের প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি কক্ষে জিম্মি করে ফেলে। এবং মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেদের খুঁজাখুজি করে। তাদের না পেয়ে বাড়িতে থাকা মেয়েদের উপর হামলা ও নির্যাতন চালায়। এসময় তারা বাড়ির আলমারি,আঙ্গিনা ভাংচুর করে শেষে হামলাকারিরা আলমিরা ও বিভিন্ন আসবাব তছনছ করে আমার মেয়ের ২ভরি স্বর্ণালংকার, আমার স্বামীর ঠিকাদারি ব্যবসার
নগদ ৩লাখ ৩০ হাজার টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এবং এর পর পুনরায়
রহিমা খাতুন ও তার স্বামীর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে দা, কিরিচ লাঠি রড, অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে হামলা চালাতে গেলে। মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীদের অবস্থা দেখতে পেয়ে অসহায় রহিমা খাতুনসহ
তার ছেলে-মেয়েরা প্রাণ বাঁচাতে পাশ্ববর্তী আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি- ঘরে আশ্রয় নেয়। পরে অসহায় রহিমা খাতুনের এক প্রতিবেশী ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে উখিয়া থানা থেকে পুলিশ এসে অসহায় রহিমা খাতুনের পরিবার কে উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী রহিমা খাতুনের পরিবার প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।