সীমান্তবাংলা ডেক্স : উখিয়া সদর বাজারে কেন্দ্রীয় শ্মশান ভূমিতে অবৈধ পাকা ভবন নিমার্ণ করার প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের গত (১৩ মার্চ) শনিবার ১টায় ঘন্টা ব্যাপী উখিয়া ষ্টেশনে রাস্তায় অবরােধ শীর্ষক সংবাদের ব্যাখ্যাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জাকের মুন্সি পরিবার
হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিযোগে পুর্বঘোষিত ১৩মার্চ যথারীতি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ও আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহান সিকদার সকাল ১১টায় ঘটনাস্থল শ্বশান সংলগ্ন মুন্সি বাড়িতে উপস্থিত হন এবং তিনি সরেজমিন পরিদর্শণ করেন। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নাপেয়ে চলে যান তারা
কার্যত : যেখানে পাকাদালান তৈরি করা হচ্ছে, তা মৃত জাকের হোসেন মুন্সির নিজ নামে রেজিযুক্ত ২২/১০/৫৩ইং এর ১৭৩৮ দলিলে ওয়ালাপালং মৌজার এরএস ৭০৮৭/৭৩১৭ দাগের জমি। কক্সবাজার থেকে (১৪মার্চ) প্রকাশিত আজকের দেশবিদেশ , আমাদের কক্সবাজার পত্রিকায় হিন্দু সম্প্রদায় উল্যেখ করেন যে, বিএস-৭০২৯ দাগ ১নং খাস খতিয়ানের রেকর্ডভূক্ত এক একর ১২ শতক জমির প্রায় ৮০ শতাংশ জমি মুন্সী পরিবার জবরদখল করে। এ প্রেক্ষিতে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে যে, তারা ভুল তথ্য উপস্থাপন করে প্রশাসন ও জনসমক্ষে বিভ্রান্তির অপচেষ্টো করছেন
কেননা তারা একই সম্প্রদায়ের ৮টি পরিবারকে শ্বশানের ভুমি বিক্রি কিংবা দখল ছেড়ে দিয়েছেন পাশাপাশি উত্তর সীমানায় প্রায় ৫০টির মত অবৈধ দোকান গড়ে তুলে ইজারা দিয়েছেন যাহা প্রশাসন মোটেই ওয়াকিবহাল নয়
প্রকৃতপক্ষে বিএস ২নং খতিয়ান ৭০২৯ দাগটি সংরক্ষিত উখিয়া রেঞ্জের অধিনে বনভুমি হিসেবে রেকর্ড সংগৃহীত রয়েছে। বলা প্রয়োজন রয়েছে যে, উখিয়া দারোগা বাজার এলাকায় প্রায় দু”শত হিন্দু পরিবারে মধ্যে একটিমাত্র মুসলিম পরিবার। মুসলিম পরিবারটি সংখ্যালগু হিসেবে পরস্পরের মধ্যে যুগযুগ ধরে সৌহার্দ পরিবেশ রেখে আসছে
এ সংখ্যালগু পরিবারের সদস্যদের সাথে বৃহত্তর হিন্দু পরিবারের মধ্যে কোনদিন কোন সময়ই মনোমালিন্য বা ঝগড়া বিবাদ ঘটেনি। যাহা অসম্প্রদায়িক ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ। উল্লেখ্য যে,৭১ সালে দেশ স্বাধিন হওয়ার পর জনৈক নির্মল, সুমল, মৃদুলদের পরিবারকে মুসলিম পরিবারটির বাড়িতে নিজেরা গাদাগাদি করে দীর্ঘ ৬মাস পর্যন্ত সর্বোত আশ্রয় প্রদান করে।
১৪ মার্চ/এএইচ/এডমিন/ইবনে
সংবাদটি শেয়ার করুন