রফিকুল ইসলাম ■ কক্সবাজারের উখিয়ায় চলমান শতকোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে ঢিমেতালে।ঠিকাদারের শ্রমিক নির্ভর এসব উন্নয়ন প্রকল্প কাজ চলাকালে তদারকি সংস্থা এলজিইডি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ও ঠিকাদারের নিয়োজিত সাইড প্রকৌশলী দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা পরিলক্ষিত হচ্ছেনা।
উপজেলা প্রকৌশলী বলেছেন, সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালনের মত লোক নেই । জরুরী সহায়তা মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা রেসপন্স প্রকল্প (ইএমসিআরপি) প্রকল্পের আওতায় উখিয়ায় ১.৬৫ কিঃমিঃ গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। ইএমসিআরপি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়ার রাজাপালং ইউপি – বটতলী পর্যন্ত ১৮ শ মিটার সড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে ৪ মাস ধরে। সামান্য অংশ কার্পেটিং করে অধিকাংশ কাজ ফেলে রাখায় স্থানীয় লোকজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ সড়কের হাজীরপাড়া খালের একপাশে আরসিসি গাইডওয়াল নির্মাণ কাজে কোন তদারকি ছাড়া অতি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে চালানো হচ্ছে বলে বাবুল বড়ুয়া, ভুট্টো, জাফর শেষ হয়নি কিন্তু গাইড ওয়াল একপাশে ঝুকে পড়েছে। ২০ ফুট গভীরতায় পাইলিং করার কথা থাকলেও করেছে ৮-১০ ফুট। সরেজমিনে রোহিঙ্গা ও শিশু শ্রমিক দিযয়ে। সচেতন মহলের অভিযোগ, দেশের উন্নয়নে সরকার সাধ্যমত চেষ্টা করলেও কাজের গুণগত মান নিম্মমানের হওয়ায় এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সহ স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রভৃতি মালামাল নিম্নমানের। নির্মাণ কাজ এখনো রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হওয়ায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়নে উখিয়ার সর্বত্র চলছে কয়েক শত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন। গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাইন্ডিং, আরসিসি ঢালাই কাজ চালানো হচ্ছে। এতে কোথায় কিভাবে কি করতে হবে তা তারা না জানায় যেনতেনভাবে দায়সারা কাজ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, অনেক প্রতিবাদ করেছি কেউ শুনে না। উন্নয়ন হচ্ছে লোক দেখানো, এতে কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে এলাকার লোকজন সংশয় প্রকাশ করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর রাজাপালং ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী চলমান এ কাজের গুনগত মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা টেকসই উন্নয়নের জন্য জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজের ধরন, কাজ শুরু ও সমাপ্তির বিস্তারিত বোর্ড ও দৃশ্যমান জনসমক্ষে টাঙ্গানো হয়নি।