উখিয়ায় দরগাহ শরীফে রাতের আঁধারে ভাংচুর চালিয়েছে  সন্ত্রাসীরা।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৩

 

বিশেষ প্রতিবেদক,
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহ বিলে অবস্থিত হযরত খামশের আলী শাহ (র) দরগাহ শরীফ ভাংচুর ও সংস্কার কাজে বাঁধা প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগকারী শামশুল আলম বলেন, দীর্ঘ শত বছর ধরে গাছ বাঁশ তৈরি করা দরগাহ ঘরটি ইট বালি কংকর দিয়ে পাকা করলে স্থানীয় দরগাহ বিরোধীদের আস্কারায় ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা হযরত খামের আলী শাহ (র) দরগাহ শরীফে রাতের আঁধারে রট,দা, ভারী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাংচুর করলে বিকট শব্দ শুরু হয়।

এতে মাজারের সভাপতি শামসুল আলমের চিৎকারের শব্দ শুনে এলাকার লোকজন আসতে শুরু করলে। পরিস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা ঘটনা স্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।

অত্র এলাকার মুরুব্বিরা গণমাধ্যম কর্মীকে জানান
আমাদের বাব দাদার অমল হইতে উক্ত দরগাহ শরীফ টিতে ঝিকির ফিকির ও জিয়ারতের মাধ্যমে প্রতি বছরের ন্যায় ইছালে সওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান।

এদিকে হযরত খামের আলী শাহ (র) এর দরগাহ ঘর ভাংচুরের খবর পেয়ে ঐ দরগাহ শরীফের কমিটির উপদেষ্টা হযরত মাওলানা নুরুল হাসান আজাদ যুক্তিবাদী বলেন আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকারী অলি-উল্লাহর দরগাহ শরীফে যারা রাতের আঁধারে ভাংচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছে। যাতে ভবিষ্যতে এধরনের নেক্কার জনক ঘঠনা আর না ঘটে।

উক্ত দরগাহ শরীফ কমিটির সভাপতি শামসুল আলম পিতা মৃত আবদু শুক্কুর সাং পর্ব দরগাহ বিল, রাজাপালং ইউনিয়ন।
দরগাহ শরীফটি ভাংচুরের বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান।

উক্ত অভিযোগে জানা যায়, দরগাহ শরীফটি শত বছরের পুরাতন হওয়ায় আমরা বিগত ২২/০৫/২০২৩ইং তারিখের পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ধর্মপ্রাণ জিয়ারতকারীদের সুবিধার্থে পুঃ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এমতাবস্থায় সিদ্ধান্ত
মোতাবেক দরগাহ শরীফ পুণঃ নির্মাণ করার জন্য ইট, বালি, সিমেন্ট, কংকর, রড আর্নিয়া আনুমানিক
১,৫০,০০০/= (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার পণ্য মজুদ করে কাজ আরম্ভ করে ৫০% কাজ সমাপ্ত
করি।

এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২৫/০৫/২০২৩ইং তারিখ মধ্য রাত অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময়
নির্মাণাধীন ইটের দেওয়াল সহ উপরের টিন ভেঙ্গে ফেলা হয়। বিভিন্ন বিকট শব্দের আওয়াজ শুনে আমি সহ স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিলে দুঃষ্কৃতিকারীরা নির্মাণাধীন দরগাহ শরীফের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ড্রাম
ট্রাক যোগে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য, পূর্ব দরগাহ বিল দক্ষিণ পাড়া শাহী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির
সদস্য ১। আবুল হোসেন পিতা- মৃত আজমতী, সদস্য ২। ফজলুল করিম, পিতা- নূরুল ইসলাম, ৩।
জালাল আহমদ, পিতা- মৃত কবির আহমদ এরা ৩ জনের নেতৃত্বে আরো ১০/১৫ জনের একটি ভাড়াটি
সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উপরোক্ত ঘটনা ঘটায়। উল্লেখিত ১ নং বিবাদী আমার বিরুদ্ধে উখিয়া থানা একটি
মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে এবং আবুল হোসেন ও ফজলুল করিম আমাকে সরগাহ শরীফটি পুণঃসংস্কার
না করার জন্য প্রকাশ্য হুমকি ও বাঁধা প্রদান করিয়াছিল। ঘটনার জেরে আমি পূর্ব দরগাহ বিল দক্ষিণ পাড়া
জামে মসজিদের সর্বোচ্চ পাতা মাপের প্রতিনিধি ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে
মসজিদের ৭৭,০০,০০০/- (সাতত্তর লক্ষ) টাকার হিসাব চাওয়াতে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ আমার উপরে
ক্ষেপে গিয়ে এর ধরনের প্রতিহিংসা মূলক নেক্কারজনক ঘটনা করিয়াছে। উল্লেখিত দরগাহ শরীফটি আমার
দাদামহের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেই থেকে বংশ পরষ্পরায় পরিচালনা করিয়া আসিতেছি।
ইতিপূর্বেও উক্ত দরগাহ শরীফটি মাটির দেওয়াশ টিনের ছাউনি দিয়া বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে বিদ্যমান
দরগাহ ঘরটি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা উক্ত কাজ গুলো
চালিয়ে যায়। যেকোন মুহুর্তে দরগাহ শরীফ পুণ্য সংস্কারকে কেন্দ্র করে আইন শৃংখলার অবনতি সহ বড়ধরনের দুর্ঘটনা সংঘটিত হতে পারে।

তাই স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রাণের দাবী হিসেবে প্রাচীনতম আধ্যাত্মিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা ও সংস্কারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।