ঈদের সুযোগে কক্সবাজার শহর জুড়ে রোহিঙ্গাদের ঢল। পুলিশের অভিযানে আটক ৪৭৬

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক ;

ঈদে বেড়ানোর নাম করে উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে বিশেষ কায়দায় বের হয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। গতো ক’দিনে কক্সবাজার শহরে লক্ষ্যনীয় মাত্রায় রোহিঙ্গাদের বিচরণ চোখে পড়েছে। কক্সবাজার শহরের অলিগলিতে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে। রোহিঙ্গাদের এমন অবাধ বিচরণে কক্সবাজার জেলায় প্রতিদিনই বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। গতো মাস থেকে শুরু করে চলতি মাসে অত্র এলাকায় বেশ কিছু মোটরবাইক চুরি সহ ইজিবাইক চালককে গলাকেটে হত্যা করে ইজিবাইক চিনতাইয়ের ঘটনা ও ঘটেছে। কক্সবাজার অঞ্চলে বেশকিছু ভাড়াটিয়ার ঘরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী মনে করছেন রোহিঙ্গা আসার পূর্বে এ ধরনের ঘটনা তেমন ঘটতোনা। তারা বলছেন এসব ঘটনার পেছনে রোহিঙ্গারা জড়িত থাকতে পারে। স্থানীয় বেশ কজন ব্যক্তি জানান রোহিঙ্গাদের এভাবে এলাকায় ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আমরা শংকিত। তাদের প্রশ্ন ক্যাম্পে প্রবেশ দ্বারে পুলিশের তল্লাশি চৌকি আর চারিদিকে কাটাতারের বেড়া থাকা স্বত্বেও তারা কিভাবে ক্যাম্প থেকে যত্র তত্র বাইরে চলে আসে, তারা ক্যাম্পে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেন।
উখিয়ার সংবাদ কর্মী আব্দুল লতিফ বাচ্চু বলেন, রোহিঙ্গাদের এভাবে অবাধে চলাফেরার কারনে যেসব অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে এর দায়ভার কারা নিবে? ক্যাম্প প্রশাসন বা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কি এর দায় এড়াতে পারে!
বাচ্চু আরো বলেন, এটি উদ্বেগজনক এবং ভাবনার বিষয় বৈ কি? এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ তাদের অভিযানে প্রায় ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা কে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন সচেতন ব্যক্তি জানান, রোহিঙ্গাদের আমরা মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছিলাম তার মানে এই নয় আই এনজিও রা মিলে তাদের এভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে দিবে। পুলিশের অভিযানে যা ধরা পড়ছে তা সীমিত আরো কতো হাজার রোহিঙ্গা যে সারাদেশে বিচরণ করছে তার কোন হদিস নেই। কাজের নাম দিয়ে অনেকেই আবার বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে আশ্রয় গেড়ে বসেছে। এভাবে ধীরে ধীরে তারা পুরো দেশটাকে গিলে খাবে। তিনি এনজিও সংস্থাগুলোর অতিমাত্রায় রোহিঙ্গা প্রীতি নিয়েও প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
তিনি এও বলেন, দেশটা কি এনজিওরা চালায় না কি বাংলাদেশ সরকার চালায়?
যদি বাংলাদেশ সরকার চালায় তাহলে ঈদের দিন থেকে শুরু করে ঈদের দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অবৈধ ভাবে বেরিয়ে পড়া হাজারো রোহিঙ্গাদের মধ্যে থেকে মাত্র ৪৭৬ জন আটক হলেও বাকিরা গেল কোথায়।
উখিয়ার সচেতন মহল এ ব্যপারে উখিয়া- টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ ও আইন-শৃংখলার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন পুলিশ কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদের ও আহবান জানান।