ইনানী সমুদ্র সৈকত দ্বীখন্ডিত করে জেটি নির্মানের অশুভ তৎপরতা যেভাবে রুখে দিয়েছে প্রকৃতি !

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২০

ইনানী সমুদ্র সৈকতের পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার ইসিএ জোনে পরিবেশগত ঝুঁকি ও প্রভাবের বাস্তব সমীক্ষা না করে জেটি করার মত এধরনের হুজুগে সিধান্তে অপরিকল্পিত স্থাপনা পরিবেশগত সংকট সৃষ্টি করবে। প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি পাথুরে বীচের ইকোসিস্টেম ও গঠন মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলবে। তৎসংলগ্ন পাঁচ তারকা মানের হোটেল রয়েল টিউলিপ ও এই হুমকির মুখে পড়তে পারে। কারন প্রকৃতিকে আঘাত করলে প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নেয়।

ককসবাজার সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিস পয়েন্ট, কবিতা চত্বর ও শৈবাল পয়েন্ট এবং লাবনী পয়েন্টের ভাঙ্গন ও ঝাউবাগান বিলীন হয়ে যাওয়া তার বর্তমান উৎকৃষ্ট উদাহারন।
ককসবাজার সমুদ্র সৈকতের ৮৫ কিঃমিঃ এলাকার বিভিন্ন অংশের বেশিরভাগ জমি কৌশলে কিনে ফেলেছে সরকারে বিভিন্ন সংস্থা ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো গত কয়েক বছরে, তখন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমগুলো চুপ ছিল গুম হবার ভয়ে।

এখন তারা তাদের স্ব স্ব জমির বিপরীতে সমুদ্র সৈকতের ইসিএ জোনে যা খুশি করবে, কতজনকে বাধা দিবেন ? কতজনকে ঠেকাবেন ? যেখানে টাকা দিলে জাতীয় স্বার্থ বিক্রি করতে তিল পরিমান কার্পন্য করেনা কেউ ! তবে তাই বলে তাদের যা মনচায় তারা করতে পারেনা !

সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থার চত্রছায়ায় যদি কোন ব্যাক্তি স্বার্থে আইন অমান্য করে তবে সাধারন মানুষের উপরে সে আইনের প্রয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত ?
তাই এখন দেখার বিষয় সরকার ইসিএ রক্ষায় কি পদক্ষেপ গ্রহন করে !

তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও পরিবেশ আইন এখন অনেকটা ষ্টাব্লিশ তবে কেন কার ইশারাতে, এভাবে একটি প্রতিষ্টান গায়ের জোরে ইসিএ জোনে এভাবে জিওব্যাগ দিয়ে ও সমূদ্রের কিনারায় পাইলিং করে কৃত্রিম জেটি করে ইনানী সমুদ্র সৈকতের পাথুরে বীচের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে মূল সৌন্দর্য্য বালির নীচে চাপা দিয়ে নিজেদের স্বার্থে এভাবে জেটি করছে ?
এটি তো একদিনে হয়নি, কোথায় প্রশাসন ও সরকারী দপ্তরগুলো ?
তাদের সমস্ত আইন কি শুধু গরীব মানুষের জন্য ?

আ.ন.ম. মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ

চেয়ারম্যান,

স্যাভ দ্যা ন্যাচার বাংলাদেশ।