আদালতের রায় শুনে কাদলেন পাপিয়া

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২০
কয়েক মাস আগেও বেশ প্রতাপশালী ছিলেন শামীমা নূর পাপিয়া। যুব মহিলা লীগের পদ ব্যবহার করে বেশ প্রভাবের সঙ্গে চলতেন। গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তারের পর থেকে তার একের পর এক অবৈধ ও অপকর্মের খবর প্রকাশ্যে আসতে থাকে। তবে অস্ত্র আইনের মামলায় সোমবার যখন কারাদণ্ডের রায় হলো পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্না করতে থাকেন বহিষ্কৃত এই যুব মহিলা লীগ নেত্রী।

সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার আগে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে নেয়া হয় পুরান ঢাকার আদালতে। বিচারক তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার এক ধারায় ২০ বছর, অন্য একটি ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। দুই ধারার কারাদণ্ড একই সঙ্গে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন বিচারক।

রায় পড়ার সময় পাপিয়া অনেকটা নীরব ছিলেন। কিন্তু ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ যখন তাদের কারাদণ্ডের আদেশ দেন তখন পাপিয়া কাঁদতে থাকেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়া থেকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যান।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। অন্য দুজন হলেন সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা।

এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারের ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।

এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র‌্যাব।

(সুত্রঃ ঢাকা টাইমস/ ১৩ অক্টোবর ২০২০)