২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি এ বাজেট উত্থাপন করেন। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হতে পারে।
প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী জুলাই মাস থেকে এক বছরের জন্য কালোটাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নগদ টাকা ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে বৈধ বা সাদা করা যাবে কালোটাকা।
একইভাবে জমি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিনেও এলাকাভেদে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে কালোটাকা বৈধ করা যাবে। এলাকাভেদে বর্গমিটার অনুসারে নির্দিষ্ট কর দিতে হবে।
বাজেট বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট। আর টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬তম বাজেট।
দুই বছর আগে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন সাড়া না পাওয়ার ফলে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ বাতিল করা হয়।
এর পরের বছর দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। তবে কেউ সেই সুযোগ নেননি। এক বছর বিরতির পর আগামী অর্থবছরে আবারও ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলো।
এছাড়াও অপ্রদর্শিত আয় ও পরিসম্পদ দেখানোর ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনে কোম্পানিগুলোকে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে।
সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে ২০২৪-২৫ বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বলেন। এগুলোর জন্য তিনি দায়ী করেন কোভিড-পরবর্তী ‘রাশিয়া-ইউক্রেন’ যুদ্ধকে। একইসঙ্গে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রিজার্ভ বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতি কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
(সীমান্তবাংলা/রহমান/০৬জুন)