সীমান্ত বাংলা নিউজ ডেস্কঃ জামালপুরের মেলান্দহে নিখোঁজের ২০দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে আমান (১৪) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতো শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় দাখিল নামে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর মেলান্দহ থানায় উপস্থিত হয়ে আমানকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার কথা পুলিশকে জানায়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের সরুলিয়া গ্রামের মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আমান মাদারগঞ্জের ভেলামারী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
মেলান্দহ থানার ওসি রেজাউল করিম খান জানান, আমান মেলান্দহের সরুলিয়ায় মামার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। ১৫ আগস্ট মামার বাড়ির পাশে সমবয়সীদের সাথে লাটিম খেলায় অংশ নেয়। লাটিম খেলা নিয়ে দাখিল নামে এক কিশোরের সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে দাখিল তাকে লাটিমের সুঁতা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। পরে ঘটনার ২০ দিন পর দাখিল নিজেই মেলান্দহ থানায় হাজির হয়ে খুনের ঘটনা ওসিকে জানায়।
ওসি রেজাউল করিম খান দাখিলকে সাথে নিয়ে আমানের মামার বাড়ির পাশে ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে আমানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আত্মস্বীকৃত হত্যাকারী দাখিল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
৬ /৯/ ২০২০/ শা ম
© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Leave a Reply