সীমান্তবাংলা নিউজ ডেস্কঃ ধর্মীয় রেওয়াজ শুদ্ধভাবে সালাম দেয়া ও আল্লাহ হাফেজ বলাকে জঙ্গিবাদের চর্চা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের উপসংহার অনুষ্ঠানে “ধর্মের অপব্যাখ্যায় জঙ্গিবাদ” বিষয়ক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্মীয় স্পর্ষকাতরতার বিষয় নিয়ে উনার এমন মন্তব্যের পর পরই অনুষ্টানের ভিডিও টি ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তড়িৎ গতিতে ভাইরাল হয়। সালাম ও আল্লাহ হাফেজ নিয়ে এমন মন্তব্য করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়।
মানবাধিকার কর্মী, সমাজ কর্মী ও বিতর্ক সংগঠক কামরুল হাসান তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘ড. জিয়া রহমান সাহেব সালাম ও আল্লাহ হাফেজকে জঙ্গীবাদের শিক্ষা বলে রীতিমত ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং তার শাস্তি দাবী করছি!
খায়রুল ইসলাম তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেন, ‘একটা মানুষ চুড়ান্ত অজ্ঞ হলেই সালাম, আল্লাহ হাফেজ নিয়ে এমন মাতলামিমুলক কথাবার্তা বলতে পারে। ঢাবির মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ পাগলদের জায়গা দেয় কে?’
মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন লিখেন, ‘এরা শিক্ষিত হয়েছে ঠিকই, সুশিক্ষিত হতে পারেনি।’
এইচ এম আলাউদ্দিন লিখেন, ‘শুদ্ধ করে সালাম দেয়া, কথা শেষে আল্লাহ্ হাফেজ বলা জঙ্গিবাদের লক্ষণ – ঢাবি প্রফেসর জিয়া রহমান! জঙ্গীবাদের নামে ইসলাম ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার দায়ে ওনাকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’
এটাকে অশনিসংকেত হিসেবে উল্লেখ করে মাসউদ উবায়দুল্লাহ লিখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হয়েও যখন এভাবে টেলিভিশনে এসে পাবলিকলি ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, ধর্মের অপব্যাখ্যা করছে। তখন বুঝতে হবে এটা জাতির জন্য বড় অশনিসংকেত।’
মোফাজ্জেল হোসাইন লিখেন, ‘দেশের সেরা বিদ্যাপীঠের প্রতিনিধিরা এমন কথা বলে, কারো সাথে তুলনা করে ঘৃণা করা মুশকিল। লজ্জা শব্দটা ব্যবহার করলে শব্দটা লজ্জা পাবে, প্রতিবাদের/ঘৃণা করার ভাষা নেই। দুনিয়ার সামান্য মোহের জন্য সুশিক্ষার ইজ্জত লুন্ঠন করে এরা। শুদ্ধভাবে সালাম দিয়ে কাউকে দোয়া করলে যদি জঙ্গির লক্ষণ হয়। তবে আল্লাহর গজব ছাড়া তার জন্য হেদায়াত শব্দও ব্যবহার বেঈমানি হবে।
( সীমান্তবাংলা/ শা ম/ ২২ অক্টোবর ২০২০)