সহিংসতা থেমে নেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। আরো একজনের লাশ উদ্বার

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২০

সীমান্তবাংলাঃ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার পর দিনই আবার  এক যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ক্যাম্পের ডি-৪/২ ওয়েস্ট ব্লক থেকে মো. ইয়াসিন (২৭) নামে ওই রোহিঙ্গা যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইয়াসিন ওই ক্যাম্পের মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে।

উখিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা গাজী সালাহউদ্দিন জানান, পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে ইয়াসিনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতদেহটির ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে ।  রোহিঙ্গাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত রবিবার ভোরে  কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রেজিষ্টার্ড ও নন রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গাদের মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুগ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ঘর বাড়ীসহ দোকানপাট  ভাংচুরের ঘঠনা ঘঠে। গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গাও নিহত হন। এ সময় আহত হন কমপক্ষে ১০ জন।

ক্যাম্পের হেড মাঝি মো. ওসমান বলেন, রবিবার রাত থেকে আনাস ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ওয়েস্ট ডি-ব্লকে ৪০০-৫০০ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী রাম দা-লাঠিসোটা নিয়ে ক্যাম্পের শতাধিক ঝুপড়িঘর ও ৫০টি দোকান ভাঙচুর করেছে।

কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান,
আনাস গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে সংঘটিত ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে কয়েকশ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কুতুপালং ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে ক্যাম্পের ভেতরে সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

ক্যাম্পে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এপিবিএন সহ র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর বিশেষ টিমের টহল জোরদার করেছে প্রশাসন।
এদিকে গত পাঁচ দিনে ক্যাম্পে এক নারীসহ চারজন খুন হয়েছে বলে বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে।  ২৫ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশু আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ক্যাম্পে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়জিত ১৪ এপিবিএনের উপপরিদর্শক ইয়াসিন ফারুক জানান, নতুন ও পুরনো রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে খুনের ঘটনাগুলো ঘটছে।

(সীমান্তবাংলা/ শা ম / ৬ অক্টোবর ২০২০)