ঢাকারবিবার , ৫ জানুয়ারি ২০২৫
  1. অপরাধ দূর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কক্সবাজার
  6. খেলাধুলা
  7. চকরিয়া
  8. চাকরির খবর
  9. ছবি ঘর
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন
  12. পরিবেশ প্রকৃতি
  13. পর্যটন
  14. পার্বত্য চট্টগ্রাম
  15. প্রবাসের খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরিষা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন বুনছেন নরসিংদীর কৃষকরা

নরসিংদী প্রতিনিধি
জানুয়ারি ৫, ২০২৫ ৯:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নী ল আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ ফসলের মাস জুরে হলুদ সরিষার ফুল। সকালের সূর্যের কিরন প্রতিফলিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সরিষা ফুলের সমারোহে হেসে উঠে চারদিক। এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে শস্য ভান্ডারখ্যাত নরসিংদীতে। নরসিংদী জেলার সবর্ত বিভিন্ন গ্রামের মাঠে মাঠে সরিষা খেতের হলুদ রঙের ফুল প্রকৃতি প্রেমীদের মুগ্ধ করছে। নরসিংদী জেলার কৃষকরা সরিষা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন। জেলার ৬টি উপজেলায় গ্রাম এলাকায় বর্তমানে হলুদের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় সেইদিকে সবুজের মাঠ জুড়ে হলুদ রঙের সরিষার ফুলের হাসি। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় নরসিংদীতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সরিষার চাষ। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে এবার অধিক ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।

নরসিংদী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরিষার চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম হওয়ায় অনেক কৃষক এই ফসল চাষে ঝুকেছেন। সরিষার তোলার পর একই জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে।সরিষা বেলে, দো-আঁশ মাটিতে ভালো হয়। সরিষা চাষে প্রচুর রোদ, কম তাপমাত্রা ও জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকা প্রয়োজন। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ও মাটিতে রসের অভাব হলে বীজের আকার ছোট হয় ও বীজে তেলের পরিমাণ কমে যায়। এজন্য বাংলাদেশে রবি মৌসুমেই সরিষার চাষ করা হয়ে থাকে।

নরসিংদী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ৬টি উপজেলায় ৯ হাজার ৯৫৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে প্রায় ৬০৭ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। এবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে জেলায় সরিষার চাষ করা হয়।নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় কমবেশী সরিষা উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে জেলার নরসিংদী সদর ও রায়পুরা এই দুই উপজেলায় অন্যান্য চারটি উপজেলার চেয়ে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশী জমিতে সরিষা উৎপাদন হয়। উপজেলা ওয়ারী হিসেবে নরসিংদী সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর, পলাশে ২৯০ হেক্টর, শিবপুরে ২৮০ হেক্টর, মনোহরদীতে ৮১৫ হেক্টর, বেলাবতে ৫২২ হেক্টর ও রায়পুরায় ৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার ফুলের সমারোহ। ফুলে ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত।
বেলাব উপজেলার চর বেলাব গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, আমন ধান কাটার পর জমি কয়েক মাসের জন্য পরিত্যক্ত থাকে ওই জমিতে অতিরিক্ত ফসল হিসাবে সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ইতোমধ্যে কোন কোন ক্ষেতে সরিষার দানা বাধতে শুরু করেছে। আবার কোথাও ফুল ফুঠেছে।
সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের সরিষা চাষি আবুল হোসেন জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫ শত টাকা। ফলন পাওয়া যায় ৫ থেকে ৭ মন। প্রতিমণ সরিষার বাজার মূল্য ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা বিক্রি করা হয়। রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ গ্রামের চাষি আব্দুল মোতালিব বলেন, এবার ৩ একর জমিতে বারী ১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছি, ফলনও হয়েছে ভাল।জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান জানান, সরিষা চাষে কৃষকরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক। এটি কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের আরও একটি সাফল্য। দেশি জাতের সরিষার ৬০ থেকে ৭০ দিনে এবং উচ্চ ফলন শীল জাতের সরিষা উঠতে সময় লাগে ৭৫ থেকে ৮০ দিন।তিনি আরও বলেন, সরিষার আবাদ বৃদ্ধি হলে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়বে এবং তেলের আমদানী নির্ভরতা অনেকটা কমে যাবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।