
নিজস্ব প্রতিবেদন: কক্সবাজারের উখিয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তারের বিরুদ্ধে আনা নানা অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদ এই সপ্তাহে পাঠানো হবে বলে জানাগেছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপরে মুঠোফোনে প্রতিবেদককে এ তথ্য জানান এমনটাই জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা মনসুর আলী চৌধুরী।
তিনি জানান, তদন্তের কাজ প্রায় শেষ। সামনের সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে। তদন্ত কার্যক্রম আমরা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে করেছি। এসময় তিনি দাপ্তরিক কর্মব্যস্ততার কারণে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে এত দেরি হয়ে বলেও জানান।
অভিযোগকারী ও সাংবাদিক নেতা জসিম আজাদ তদন্ত শতভাগ সুষ্ঠু হবে বলে আশা করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনসুর আলী চৌধুরী ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে নিশ্চয় নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এবিষয়ে তিনি আমাদের অনেকবার আশ্বস্ত করেছেন। তারপরও কোন অসংগতি থাকলে উধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
উল্লেখ্য যে, গত ২২ মার্চ সকালে উখিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনসুর আলী চৌধুরী ও সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিনয় চাকমা এ তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘন্টা ধরে এ তদন্ত কার্যক্রম চলছিল।
এর আগে উখিয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তারের বিরুদ্ধে জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি দেওয়া, বিধি লঙ্ঘন করে প্রেষণে পাঠোনো, স্বেচ্ছাচারীতা, অশালীন ব্যবহারসহ নানা অভিযোগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করেছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অধীনস্থ কয়েকজন শিক্ষক ও সাংবাদিক জসিম আজাদ।
ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় উপ পরিচালক ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অবশ্য, প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় উপ পরিচালক ড. মোঃ শফিকুল ইসলামের প্রেরিত চিঠিতে পত্র প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া নির্দেশনা ছিলো।