ঢাকাবুধবার , ৮ নভেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ দূর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কক্সবাজার
  6. খেলাধুলা
  7. চকরিয়া
  8. চাকরির খবর
  9. ছবি ঘর
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন
  12. পরিবেশ প্রকৃতি
  13. পর্যটন
  14. পার্বত্য চট্টগ্রাম
  15. প্রবাসের খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শাজাহানপুরে পত্তন ছাড়াই সরকারি পুকুর চাষ, বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন ব্যবসায়ী ও ভূমি অফিস !!

News Desk
নভেম্বর ৮, ২০২৩ ৮:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

ডেস্ক রিপোর্টঃ

বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার খড়না ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ৬ বিঘার বেশি আয়তনের পুকুরটি পত্তন ছাড়াই মাছ চাষ করছেন স্থানীয় ৩ ব্যক্তি। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার | উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য ব্যবসায়ী বলছেন পুকুরটি পত্তন দিলে বছরে কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা রাজস্ব পাবে সরকার |

বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) বলছেন পুকুরটি তাঁরা নিজেরাই চাষ করছেন।পুকুর চাষকরা ৩ ব্যাক্তি একেক জন একেক কথা বলছেন।

পুকুর চাষ করা ব্যক্তিরা হলেন খড়না ইউনিয়নের খড়না নয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম(৪২), খড়না সরকারপাড়া গ্রামের মাসুদুজ্জামান মিটু(৪৫) এবং খড়না ধাওয়াপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম।(৫০)। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি।

সরেজমিনে গিয়ে পুকুরপাড়ে বাসিন্দাদের অন্তত ১০জন বাসিন্দা বলেন, গত ২বছর ধরে পুকুরটি চাষ করছেন স্থানীয় শহিদুল ইসলাম, মাসুদুজ্জামান মিটু এবং নজরুল ইসলাম। অনেক বড় পুকুর এবং প্রচুর মাছ হয়।

খড়না ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মোঃ সুরুমান মাসুদ বলেন, খড়না ভূমি অফিসের সাথের পুকুরটির মালিক ভূমি অফিস। পুকুরটি কারা কিভাবে চাষ করছেন তা আমার জানা নাই। এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) এর সাথে কথা বলেন।

খড়না ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একজন কর্মচারী মোঃ মামুন বলেন, পুকুরটির আয়তন ৬বিঘার উপরে। সঠিক মাপ নথি দেখে জানাতে পারবো। তবে এরপর এ বিষয়ে আর কথা বলেন নি তিনি।

জানতে চাইলে পুকুর চাষ করা ব্যাক্তিদের একজন শহিদুল ইসলাম বলেন, আসলে আমি তো চাষ করিনা। পুকুর চাষ করে মাসুদুজ্জামান মিটু এবং নজরুল ইসলাম। আমি তাঁদের সাথে আছি। মূলত নজরুল ইসলাম পুকুরটি নিয়ে দিয়েছেন। ২বছর বা আরেকটু বেশি সময় ধরে আমরা চাষ করছি।

মাসুদুজ্জামান মিটু মোবাইল ফোনে বলেন, ভূমি অফিসের পুকুরটি চাষ করতে আমারা বছরে ২০লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছি। লাভ সেরকম হয়না। বিভিন্ন জন এসে টাকা, মাছ চায়। সরকারি ডাক না থাকলেও বিভিন্ন জনকে বছরে ৫লক্ষাধিক টাকা দিতে হয়।

পুকুর চাষ করা আরেক ব্যাক্তি নজরুল ইসলাম বলেন, ভূমি অফিসের পুকুর আমরা তত্বাবধান করছি। কাউকে টাকা পয়সা দেয়া লাগেনা, শুধু মাছ দেই। অফিসের কেউ চাইলে তো না করা যায়না।

জানতে চাইলে উপজেলার পুরাতন মৎস চাষীদের একজন নিত্যানন্দ দাস বলেন, ৬বিঘার উপরে ভূমি অফিসের ওই পুকুর বছরে কমপক্ষে ২লক্ষ টাকায় পত্তন নেয়া যাবে। সব বাদ দিয়েও বছরে কমপক্ষে ৪লাখ টাকা লাভ করা যাবে।

জানতে চাইলে শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সানজিদা মুস্তারী বলেন, পুকুরটা ভূামি অফিসের। আমরা নিজেরাই সেখানে মাছ ছেড়েছি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।