সীমান্ত বাংলা : রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখনো সক্রিয় ভুয়া ডিজিটাল এন আই ডি কার্ড বিক্রি চক্রের হোতারা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের হিসেব অনুযায়ী, ২৫ আগষ্ট ২০১৭ সালে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রায় ৬,৫৫,০০০ থেকে ৭,০০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বিগত তিন দশক ধরে মায়ানমার সরকারের নির্যাতন পরিত্রান পেতে ৩,০০,০০০ এর অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে অবস্থান নেয় । সেই থেকে শুরু করে এ মুহূর্তে কক্সবাজারে সব মিলিয়ে অন্তত ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
এ সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অতি আদর আর তোষামোদি তাদের মাথায় বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পাওয়ার ভুত চেপেছে। যা বাংলাদেশের অধিনস্থ একটি অপার সৌন্দর্যমন্ডিত এলাকা পর্যটন নগরী কক্সবাজার বাসীর জন্য খুবই চিন্তার ব্যপার। সমস্যা এখানেই শেষ নয়, রোহিঙ্গাদের এই আশার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের মাঝে ডিজিটাল এন আই ডি কার্ড সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। কিছুদিন আগে টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়া এসব এন আই ডি কার্ডের ব্যপারে জানানো হয়েছিলো কিছু কিছু কার্ড তৈরীর সাথে নির্বাচন কমিশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও নাকি জড়িত ছিলো যা পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে এসব কার্ডের তথ্য পাওয়া যায়। পরে অবশ্য বেশ কজন অসাধু কর্তাকে গ্রেফতার ও করা হয়েছিলো। তবুও থেমে নেই এই কার্ড বানিজ্য।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাবেক এনজিওতে কর্মরত ইসলাম খাতুন নামের এক মহিলার সাথে কথা বলে জানতে পারি তার এবং তার স্বামীর নাকি ডিজিটাল এন আই ডি কার্ড আছে। তার স্বামী চট্রগ্রামে কোন এক প্রতিষ্টানে কাজ করে, সে নিজেকে বাংলাদেশী নাগরিক দাবী করে খুব গর্বের সাথে বলছিলো, দেখেন আপনাদের ও নেই এসব আধুনিক কার্ড।
খোজ নিলে কুতুপালং রেজিষ্টার্ড ক্যাম্প সহ অসংখ্য ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের মাঝে এসব এন আই ডি কার্ড পাওয়া যাবে। যেসব কার্ড নিয়ে তারা অবাধে সারা বাংলাদেশ ঘুরাফেরা করে আসছে। এমনিতেই রোহিঙ্গাদের উৎপীড়নে স্থানীয় বিশাল জনগোষ্টী প্রতিনিয়ত হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। সুতরাং গোয়েন্দা সংস্থা আর স্থানীয় প্রশাসনের উচিত হবে এদের বিষয়ে আরেকটু নজরদারী বাড়ানো।
শাহীন মঈনুদ্দীন/৬সেপ্টেম্বর২০২০