রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন

শিরোনামঃ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃ’তের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে নীলফামারী জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন গাজায় যুদ্ধ শেষে ইসরায়েলের উপস্থিতি মেনে নিবে না ইউএই বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক কক্সবাজারে ২০ হাজারের অধিক মানুষ পানিবন্ধি, ৬ জনের প্রাণহানি! কক্সবাজারে বৃষ্টির রেকর্ড ২৪ ঘণ্টায় ৪০১ মিলিমিটার পাহাড় ধসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ জনের মৃ’ত্যু কক্সবাজারে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৩ জনের মৃ’ত্যু প্রতিষ্টাতা কমিটির উদ্যোগে রামু প্রেস ক্লাবের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত  নরসিংদীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণা
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তহবিল সংগ্রহেই ব্যস্ত বিশ্ব সম্প্রদায়, প্রত্যাবাসনে সাড়া নেই

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তহবিল সংগ্রহেই ব্যস্ত বিশ্ব সম্প্রদায়, প্রত্যাবাসনে সাড়া নেই

সীমান্তবাংলা নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদে জন্য ৬০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি এলেও তাদের একজনকেও গত তিন বছরে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। আর যে মানবিক সহায়তা আসছে তাও প্রয়োজনের তুলনায় কম৷
২০২০ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ১০০ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল৷ কিন্তু তাতে তেমন সাড়া না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সঙ্গে নিয়ে একটি ভার্চুয়াল সম্মেলন করে৷ সেখানেই ৬০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়৷ এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ২০ কোটি ডলার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং যুক্তরাজ্য ৬ কোটি ডলার দেবে৷ আরো কয়েকটি দেশ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, ‘‘এই অর্থ সহায়তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মানবিক সংকটে সাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে জোরালো অবস্থানের প্রতিফলন ঘটিয়েছে৷’’

কিন্তু বাস্তবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা কমছে৷ আর প্রত্যাবাসনের বিষয়টি এখন আর তেমন আলোচনায়ই উঠছে না৷ সম্মেলন শেষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘২০১৮ সালে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়৷ সেই থেকে আজ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও ফেরত নেয়নি মিয়ানমার৷ বাংলাদেশ হতাশ৷ তাই রোহিঙ্গারা যেন দ্রুত ফেরত যেতে পারে, সে পরিবেশ সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে৷’’ আন্তর্জাতিক জোটের নেতা এবং বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা মনে করেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই সম্ভব ৷ সেটাতেই জোর দিতে হবে৷

অভিবাসন এবং উদ্বাস্তু বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক সি আর আবরার মনে করেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যে চুক্তি করেছে, তার মধ্যেই দুর্বলতা আছে৷ এই চুক্তিতে আন্তর্জাতিক কোনো পক্ষের সংশ্লিষ্টতা নেই৷ কোনো সময়সীমা নেই৷ কাকে ফেরত নেবে সেই সিদ্ধান্ত মিয়ানমারই এককভাবে গ্রহণ করবে৷ তৃতীয় পক্ষের কথা বলার কোনো সুযোগ নেই৷ চুক্তির এই দুর্বলতার সুযোগ মিয়ানমার এখন পুরো মাত্রায় নিচ্ছে৷ বাংলাদেশকে একটা দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রের সাথে ডিল করতে হচেছ৷ তিনি বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিল৷ সেখানে যারা অ্যাক্টর তারা তো এ নিয়ে কোনো কথা বলছে না৷’’

তার মতে, ‘‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও ভারত বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে৷ কিন্তু আমরা সে ব্যাপারে কার্যকর কিছু করতে পারিনি৷ আমরা বুঝতে পারিনি যে ভূ-রাজনৈতিকভাবে আমরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ৷

বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘এই সমস্যা আরো দীর্ঘায়িত হবে৷ কারণ, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাস্তবে তেমন কোনো চাপই সৃষ্টি করেনি৷

( সুত্রঃ ডি ডব্লিউ/ ২৫ অক্টোবর ২০২০)

পোষ্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ

Design & Developed by Ecare Solutions