মোসলেহ উদ্দিন : কক্সবাজারের উখিয়া ১৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রত্যাবাসন বিরোধীচক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেেছে। মিয়ানমারের মদতে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ প্রত্যাবাসন বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত থাকায় প্রবল ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও সাধারণ রোহিঙ্গা স্বদেশে ফিরে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করতে সাহস করতে পারছেনা। অাধিপাত্য জানান দিতে ৩টি চক্র খুন, অপহরণ, ধর্ষণ অস্ত্র, মাদক, মানবপাচার, ডাকাতি, অগ্নিকান্ডসহ লোমহর্ষক অপরাধ সংগঠিত করে ক্যাম্পে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। ওদের অস্বাভাবিক আচার আচরণে স্থানীয়ভাবে বসবাসরত নাগরিকদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ক্যাম্প কুতুপালং, লম্বাসিয়া এলাকায় বসবাসরত নজুমিয়া(৫০), ব্যবসায়ি এখলাছ মিয়া(৫৫), যানবাহন শ্রমিক আশরাফ আলী(২৮) জানায়, কিছু সংখ্যক অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যা হতে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের অবৈধ অস্ত্রের মহড়া, গোলাগুলির আওয়াজে কেউ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনা। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তার নিস্তার নেই। তাই তাদের শত অপকর্ম স্থানীয়দের মুখবুঝে সহ্য করতে হচ্ছে।
গত ২৯সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা নেতা আরাকান সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউমেন রাইটস (এ আর এস পি এইচ) এর চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে কর্মরত শীর্ষনেতা মহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপরাধ মাথাছড়া দিয়ে উঠেছে। লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের রেশ না কাটতে শসস্ত্র রোহিঙ্গারা ২৩দিনের মাথায় ১৮নং ক্যাম্পে ৫২ নং ব্লকের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় হানা দিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে ৬জন রোহিঙ্গা শিক্ষক ও ছাত্র হত্যা করে। এ ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করেছে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মুরশেদ।
ক্যাম্পে কর্মরত এপিবিএন এর উপঅধিনায়ক মো: কামরান হোসোইন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হামলাকারীদের মুজিব নামের একজনকে দেশীয় শুটারগান ৬রাউন্ড গুলি ও ছোরাসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এর কয়েকদিনের মাথায় আরও ডজনখানেক সন্হেভাজন রোহিঙ্গাদের আটক করে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কোর্টে সোপর্দ করা হয়।
একাধিক রোহিঙ্গা নেতা নাম প্রকাশে না করার শর্তে জানান, মহিবুল্লাহ হত্যার পর মিয়ানমার সরকারের মদতপুষ্ট বিতর্কিত শসস্ত্র সংগঠন আরসার চিহ্নিত সদস্যদের প্রতিরোেধে সম্প্রতি ওই মাদ্রাসার একটি সমাবেশ করে প্রত্যাবাসন পক্ষীয় রোহিঙ্গা নেতৃবৃন্দরা। সেখানে বক্তব্য রাখেন, মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হাফেজ ইদ্রিচ। যে কারণে হত্যাকান্ড ঘঠিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গ্রফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের কারণে সর্বস্তরে ক্ষতিগ্রস্থ তার এলাকার জনগন। অথচ স্থানীয় বেকার শিক্ষিত যুবকদের ন্যুনতম অধিকার চাকুরীর নিশ্চয়তা নেই।
(সম্পাদকীয়)