গত জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে সংঘটিত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। প্রতিবদনে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও পরবর্তী ঘটনাগুলোর বিবরণ উঠে আসে। পাশপাশি এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বেশকিছু সুপারিশও করা হয়েছে।
যমুনা টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আহমেদ রেজা।
যমুনা টেলিভিশন: রাভিনা, আপনাকে স্বাগতম। কেমন আছেন?
রাভিনা শামদাসানি: ধন্যবাদ। আমি ভালো আছি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।
যমুনা টেলিভিশন: জাতিসংঘের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মূল লক্ষ্য নিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, এই প্রতিবেদনের মূল লক্ষ্য কী ছিল? বিশেষ করে এটি জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলির ওপর কীভাবে আলোকপাত করেছে?
রাভিনা শামদাসানি: এই প্রতিবেদন মূলত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারকে বলা হয়েছিল ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া আন্দোলন ও পরবর্তী ঘটনাগুলো নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে। আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে কাজ করেছি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে সহায়তা করা।
এই তদন্তের মাধ্যমে আমরা আন্দোলনের মূল কারণ জানতে চেয়েছি। যদিও আন্দোলনের তাৎক্ষণিক কারণ ছিল কোটাব্যবস্থা। তবে সমস্যা অনেক গভীরে নিহিত। তাই আমরা গভীর বিশ্লেষণ করেছি এবং এর ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছি।
যমুনা টেলিভিশন: এই অনুসন্ধানের নির্ভরযোগ্যতা কীভাবে নিশ্চিত করেছেন? সাক্ষ্য ও তথ্য যাচাইয়ের জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন?
রাভিনা শামদাসানি: আমরা ২৩০টিরও বেশি সাক্ষাৎকার নিয়েছি। ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। আর তথ্য যাচাইয়ের জন্য ডিজিটাল ফরেনসিক বিশ্লেষণ, চিকিৎসা-ফরেনসিক বিশ্লেষণ এবং অস্ত্রের ব্যবহারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি।
এছাড়া, আমরা দলিল-প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। যেখানে দেখা গেছে আন্দোলন দমনে উচ্চপর্যায়ের নির্দেশ ছিল। একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য একসঙ্গে মিলিয়ে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছি।
যমুনা টেলিভিশন: আপনারা বলছেন যে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশদভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ও সংস্কার কমিটির জন্য কীভাবে সহায়ক হতে পারে?
রাভিনা শামদাসানি: জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের ভয়াবহ ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, সেজন্য আমরা কাঠামোগত ও আইনগত সংস্কার এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের সুপারিশ করেছি। তবে সমস্যার গভীরতা অনেক বেশি। সরকার পরিবর্তন হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিচারব্যবস্থায় কর্মরত অনেক কর্মকর্তা পরিবর্তিত হয়নি। ফলে আটক অবস্থায় নির্যাতন বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একসঙ্গে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার মতো প্রবণতা এখনও রয়ে গেছে।
আমরা চাই, জাতীয় পর্যায়ে একটি শক্তিশালী জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হোক। বাংলাদেশ যেন এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠায় তার সুপারিশ করছি। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সম্পূরক ভূমিকা দেশীয় বিচার ব্যবস্থার ঘাটতি পূরণে সহায়ক হতে পারে।
যমুনা টেলিভিশন: ছাত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবেলায় জাতিসংঘ কী ধরনের পদক্ষেপ সুপারিশ করেছে?
রাভিনা শামদাসানি: নিরাপত্তা বাহিনী আন্দোলনকারী, পথচারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিষয়টি নথিভুক্ত করেছি। এই সমস্যার মূল কারণগুলোর সমাধান, বিশেষত পুলিশ ও নিরাপত্তা খাতের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিকীকরণ দূর করার জন্যই আমাদের সুপারিশ। নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রমের ওপর স্বাধীন ও যথাযথ নজরদারি থাকা অত্যন্ত জরুরি।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো, ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। অনেক ক্ষেত্রে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। এছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও তথ্য পেয়েছি। এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
যমুনা টেলিভিশন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের নির্দেশ কীভাবে দেয়া হয়েছে?
রাভিনা শামদাসানি: প্রতিবাদ দমনের নির্দেশ সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে বলে বর্তমান ও সাবেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছি। এই তথ্য সাক্ষাৎকার, নথিপত্র এবং বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে মিলিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের দায়িত্ব রয়েছে বলে যুক্তিসঙ্গত ভিত্তিতে আমরা বিশ্বাস করি। যা সম্ভবত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।
যমুনা টেলিভিশন: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশের স্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং সাবেক সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ কী সুপারিশ করেছে?
রাভিনা শামদাসানি: এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। ৫ আগস্ট এবং তার পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি যে, প্রাক্তন শাসক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা ব্যক্তিদের পাশাপাশি হিন্দু ও আহমদিয়া মুসলিমদের মতো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমস্ত সহিংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃত ন্যায়বিচার কোনো পক্ষপাতমূলক হওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশের উচিত রাজনৈতিক বিভাজন থেকে বেরিয়ে এসে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে সবার জন্য সমান ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
যমুনা টেলিভিশন: সাম্প্রতিক রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে জাতিসংঘ কীভাবে নিশ্চিত করছে যে, বিরোধী দলের সদস্যরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন?
রাভিনা শামদাসানি: সম্প্রতি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর অধীনে ব্যাপক গ্রেফতারের খবর পেয়েছি। যেখানে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এক হাজার থেকে ১৩০০ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে আমাদের পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা সীমিত। কারণ, আমাদের ম্যান্ডেট জুলাইয়ের শেষ থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত সময়কালকে কভার করেছিল।
মানবাধিকার দৃষ্টিকোণ থেকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচারের অধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে তাদের দ্রুত অবহিত করা, আইনজীবীর সহায়তা পাওয়ার সুযোগ দেয়া এবং সময়মতো বিচারিক পর্যালোচনার ব্যবস্থা করা অপরিহার্য।
যমুনা টেলিভিশন: তদন্তের সময় আপনারা কি তথ্য বিকৃতি বা প্রমাণ ধ্বংসের অভিযোগ পেয়েছেন?
রাভিনা শামদাসানি: হ্যাঁ, আমরা পেয়েছি। আমাদের প্রতিবেদনের ২৫৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নির্যাতনের প্রমাণ ধ্বংসের চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনী চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্টদের চাপ দিয়েছে, যাতে মৃত্যুর কারণ বুলেট ইনজুরি নয়, ‘দুর্ঘটনাজনিত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, এমন তথ্যও পেয়েছি। এটি দায়মুক্তির একটি বড় বাধা।
যমুনা টেলিভিশন: বাংলাদেশে এখনও ১৮৬১ সালের ঔপনিবেশিক পুলিশ আইন বহাল রয়েছে। এই আইন সংস্কারের জন্য কি পদক্ষেপ নেয়া উচিত?
রাভিনা শামদাসানি: আমাদের প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার। একটি স্বাধীন তদারকি কমিশন গঠন করতে হবে। যা পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি পুলিশি তদন্তের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। যাতে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হয়।
যমুনা টেলিভিশন: বাংলাদেশে কিছু সংগঠন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এটি কি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি?
রাভিনা শামদাসানি: জাতিসংঘ রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ করে তাকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে।
যমুনা টেলিভিশন: যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বাংলাদেশ কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে?
রাভিনা শামদাসানি: জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেছেন, এটি একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর সময়। ক্ষমতা স্থানান্তর সবসময়ই জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সরকার জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়কে তদন্তের অনুমতি দিয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত।
বর্তমানে সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি সংস্কার অপরিহার্য।
যমুনা টেলিভিশন: বর্তমানে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগজনক খবর আসছে, বিশেষ করে ভিন্নমত দমনের অভিযোগ। এ বিষয়ে জাতিসংঘের দৃষ্টিতে মূল্যায়ন কী?
রাভিনা শামদাসানি: যেকোনো দমনমূলক ব্যবস্থা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। তবে আমরা এখনও খবর পাচ্ছি যে সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে ব্যক্তিদের টার্গেট করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শক্তিশালী বার্তা দেয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ— এই ধরনের কার্যকলাপ গ্রহণযোগ্য নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।
যমুনা টেলিভিশন: শ্রীলঙ্কা, চিলি ও গুয়াতেমালার গণতান্ত্রিক রূপান্তর থেকে বাংলাদেশ কী শিক্ষা নিতে পারে?
রাভিনা শামদাসানি: গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অনেক দেশের অভিজ্ঞতা রয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় বহু দেশকে এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে।
এক্ষেত্রে চিলির মতো ‘বাধ্যতামূলক গুম’ মোকাবেলার জন্য বিশেষ সংস্থা গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে ‘বাধ্যতামূলক গুমবিরোধী কনভেনশন’ স্বাক্ষর করেছে। যা ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ।
কিন্তু এটিকে বাস্তবায়ন করাই এখন আসল চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে আইনি স্বীকৃতির পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংস্কৃতি বন্ধ হয়।
যমুনা টেলিভিশন: জাতিসংঘ কি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে?
রাভিনা শামদাসানি: হ্যাঁ। আমাদের লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী বস্তুনিষ্ঠভাবে মূল্যায়ন করা। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও দায়িত্ব নিতে হবে। যাতে বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠে।
যমুনা টেলিভিশন: রবিনা, সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
রাভিনা শামদাসানি: আপনাকেও ধন্যবাদ। এটি একটি অর্থবহ আলোচনা ছিল।