প্রতিনিধি ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ , ২:৩২:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজাকারদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘রাজাকারদের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমাদের দাবি তো একটাই, সুষ্ঠু রাজাকারদের তালিকা নির্ধারণ করা এবং প্রকৃতটা নির্ধারণ করা। আর সেটা একমাত্র মুক্তিযোদ্ধারা করতে পারেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দলই সেটা করতে পারেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার তার নিজের রাজনৈতিক প্রয়োজনে হীন উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন তালিকা তৈরি করেছে। বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই সমস্ত তালিকা তারা প্রকাশ করেছে। এটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার না করে এই এতদিন পরে রাজাকারের তালিকা কতটুকু সঠিক হয়েছে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সমস্ত শহীদরা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি। আমরা আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে; যাকে অন্যায়ভাবে এই সরকার কারাবন্দী করে রেখেছে। তিনি ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছেন এবং নির্যাতিত হয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ আমরা করেছিলাম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য আজকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমাদের সেই চেতনাগুলোকে হরণ করা হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে, মানুষের স্বপ্নগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, জোর করে ক্ষমতায় এসেছে এই সরকার। তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্য সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলছে।
তিনি বলেন, ‘এইখানে আমরা শপথ নিয়েছি আমরা জনগণকে সংগঠিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনসহ ছাত্রদল, যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।