বঙ্গবন্ধু বিপিএলে নিজেদের শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিল রাজশাহী রয়্যালস। তবে মাঝপথে পথ হারিয়েছিল তারা। শেষদিকে ফের ছন্দে ফিরল বরেন্দ্রভূমির দলটি। এ অংশের ভুমিকাতে রংপুর রেঞ্জার্সকে ৩০ রানে হারাল তারা। এতে প্লে-অফেরর পথে একধাপ এগিয়ে গেল আন্দ্রে রাসেল বাহিনী।
১৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সূচনালগ্নেই হোঁচট খায় রংপুর। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শেন ওয়াটশন। ওয়ানডাউনে নেমে নাঈম শেখকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই বিদায় নেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। শোয়েব মালিকের বলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তিনি। সেই রেশ না কাটতেই এ বোলারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে আসেন ইনফর্ম নাঈম। এতে চাপে পড়ে রংপুর।
এ পরিস্থিতিতে ফজলে মাহমুদকে নিয়ে খেলা ধরেন টম অ্যাবল। দারুণ বন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। দুজনই তাণ্ডব চালাতে থাকেন। তাতে খেলায় ফেরে রংপুর। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হতেই ফের বিপাকে পড়ে দলটি।
টুর্নামেন্টের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় রাজশাহী ও রংপুর। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। তবে কেউই ব্যক্তিগত ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। ১৯ রানের মাথায় মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন লিটন দাস। তার পর দ্রুত ফেরেন আফিফ। মোহাম্মদ নবীর বলে সাজঘরের পথ ধরার আগে মাত্র ১৭ বলে ৩ ছক্কার বিপরীতে ২ চারে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
পরে ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন শোয়েব মালিক। তবে তাকে খুব বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ইরফান। ২০ রান করে আরাফাত সানির বলে আউট হন তিনি। এরপর রবি বোপরাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শোয়েব। একপর্যায়ে তাদের জুটি জমে ওঠে বেশ। তাতে এগোতে থাকে রাজশাহী। ক্রিজে সেট হওয়ার পর হাত খুলে মারতে থাকেন শোয়েব। অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে মোস্তাফিজের বলে ফিনিশ হন তিনি। ফেরার আগে ৩১ বলে ৪ চারে ৩৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি রিক্রুট।
শোয়েব ফেরার পর রাজশাহীর রানের চাকা বাড়ানোর দায়িত্ব নেন বোপারা। তাকে যথার্থ সমর্থন দেন মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনই তোপ দাগাতে শুরু করেন। তাতে হু হু করে বাড়ে দলীয় রান। শেষ ওভারে মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হন তারা। তাদের তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান করে বরেন্দ্রভূমির দলটি। ২৯ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় কাঁটায় ফিফটি করে অপরাজিত থাকেন বোপারা। ১৫ রানে আনবিটেন থাকেন নওয়াজ।
টিনিউজ/এফএইস