যশোরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কনকনে শীতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে রোদে গা তাপিয়ে নেয়ার সুযোগ মিললেও গোটা জনপদে শীত অনুভূত হচ্ছে। রোদের মাঝেও সোয়েটার-জ্যাকেট পরে চলাচল করতে হচ্ছে জেলাজুড়েই।
আজ বুধবার (৮জানুয়ারি) সকালে জেলায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই মৃদ শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে শীত বেড়েছে বলে জানিয়েছে যশোর বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস। চলতি পৌষের শেষ দিক থেকেই যশোরে বেড়েছে কুয়াশা ও শীতের দাপট। গত পহেলা জানুয়ারি থেকে বিকাল থেকে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। রাত ও সকালে বেড়ে যায় কুয়াশার দাপট। একই সঙ্গে বইতে থাকে হিমেল বাতাস। যার ফলে গত কয়েক দিন থেকেই শীতে কাবু হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। কত কয়েক দিনে তাপমাত্রার পারদ কমতে কমতে বুধবার দাঁড়ায় দেশের সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে।
যশোর শহরের জিলা স্কুল মোড়ে তহমিনা খাতুন নামে এক পথচারী বলেন, কয়েক দিন থেকে ঠাণ্ডায় তো জমে গেছি। সকাল ৯টায় সূর্য ওঠায় ভালোই লাগছে। কাজকর্ম করতে স্বস্তি লাগছে।
সার্কিট হাউজের সামনে তৈয়ব হোসেন নামে এক রিকশাচালক বলেন, সকাল থেকেই খুব শীত। রোদ উঠেছে; চারিদিকে ফকফকা (পরিষ্কার) তার পরেও শীত কমছে না। রিকশা চালাচ্ছি, তার পরেও সোয়েটার-জ্যাকেট পরে আছি।
শীতে বেড়েছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে দেখা যাচ্ছে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুদের চিকিৎনা নিতে। যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও শহরের নিউমার্কেটসহ শিশু হাসপাতালে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগে চিকিৎসা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বজলুর রশিদ বলেন, কয়েকদিন ধরে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বহির্বিভাগে বয়স্ক ও শিশুদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, শীত বাড়ছে, বয়স্ক ও শিশুদের আলাদা যত্ন নিতে হবে। গরম পানিতে গোসল করাতে হবে। শীত নিবারণে গরম পোশাক পরিধান ও সন্ধ্যার পরে দ্রুত ঘরে প্রবেশ করে নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- এমন বিরূপ আবহাওয়া আরও কয়েকদিন চলতে পারে।