প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭:৪০:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
সীমান্তবাংলা ডেস্ক◼️
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ঝড় ও বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং অন্তত ৮৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার।
গত সপ্তাহান্তে মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ডসহ পুরো অঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি। এই ৪টি দেশের সরকারি হিসাব- ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি ও একে কেন্দ্র করে বন্যা-ভূমিধসে অন্তত ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার বলেছিল, ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে রাজধানী নাইপিডোসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রায় দুই লাখ ৩৫ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে জানিয়ে বিদেশি সাহায্যের জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলেন দেশটির জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।
জান্তা সরকার জানিয়েছে, শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় দুই লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ৬৫ হাজারের বেশি বাড়ি ও ৫টি বাঁধ ধ্বংস হয়েছে। বন্যা উপদ্রুত ৩০টি এলাকা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬০২ জন লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে এবং উদ্ধার অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গ্লোবাল নিউলাইট অব মিয়ানমারে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, বন্যায় দেশের কিছু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং মধ্য মান্দালয় অঞ্চলের একটি স্বর্ণ-খনি এলাকায় ভূমিধসে বেশ কিছু লোকের চাপা পড়ার খবর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত চলছে। টানা সংঘাতে দেশটিতে ২৭ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এর মধ্য ঝড়-বন্যা-ভূমিধস মিয়ানমারবাসীর দুর্দশা বাড়িয়েছে।
দেশটিতে ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের কারণে অন্তত এক লাখ ৩৮ হাজার লোকের প্রাণহানির পর তৎকালীন জান্তা সরকারে বিরুদ্ধে জরুরি ত্রাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া অন্যান্য সময়েও দেশটির সামরিক বাহিনী বিদেশ থেকে আসা মানবিক সহায়তায় হয় বাধা দিয়েছে বা না হয় ফিরিয়ে দিয়েছে।
তবে এবারের বন্যায় দেশটির জান্তা সরকারের পক্ষ থেকেই বিদেশি সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানানো হলো।