সীমান্তবাংলা ডেস্ক ■ আর মাত্র কয়েকদিন বাকী আছে কোরবানির ঈদ। ঠিক এই সময়েই পুড়ে গেলো কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য লালন পালন করা ১৩টি গরু। সাথে খামারের আরো ৩ হাজারের বেশী মুরগিও পুড়ে গেছে। এতে করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারী।
বুধবার, ১২ জুন ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুরের মিলন মুন্সির গরুর খামারে এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের কালিখোলা বাজার এলাকায় মিলন মুন্সির গরুর খামারে ভোররাত সারে ৩টার দিকে স্থানীয়রা আগুন জালতে দেখেন। এসময় ঐ খামারে ১৪টি গরু বাধা ছিল। আগুনের টের পেয়ে রশি ছিঁড়ে একটি গরু ছুটে যায়। আগুন নেভানোর আগেই অন্য ১৩টি গরু পুড়ে মারা যায়। এছাড়াও খামারে থাকা ৩ হাজারের বেশী মুরগিও আগুনে পুড়ে যায়। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভাতে পারলেও ততক্ষণে খামারের সবকিছু পুড়ে গেছে।
গরুর খামারি মিলন মুন্সি বলেন, এ বছর কোরবানি ঈদের জন্য বিক্রি করতে এই গরুগুলো প্রস্তুত করা হয়। অনেক কষ্ট করে তিল তিল করে গরুগুলোকে লালন করেছি। বর্তমান বাজারে গো খাদ্য অনেক চড়াদাম। তবুও কিছুটা লাভের আশায় গরুগুলোকে লালন করেছি।
বুধবার বিভিন্ন হাটে এই গরুগুলোকে বিক্রির জন্য নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতেই খামারে আগুন, ১৩টি গরু ও পাশে থাকা মুরগির খামারে ৩ হাজারের বেশী মুরগি পুড়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই আগুনের ঘটনায় আমি একেবারে পথে বসেছি। শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মুন্সী বলেন, কালিখোলা বাজারে একটি গরুর খামারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩ টি গরু পুড়ে মারা গেছে। এই গরুগুলো বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির হাটে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল।
এছাড়া একই ব্যক্তির মুরগির খামারের ৩ হাজারের বেশী বয়লার মুরগিও পুড়ে মারা গেছে। আগুন কিভাবে লেগেছে, তা কেউ বলতে পারেনি। তাই বিষয়টি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সীমান্তবাংলা/এমইউ/১২জুন২৪