মহেশখালীতে বড় কবরস্থান সংস্কারের সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩

 

🖋️জুয়েল চৌধুরী, মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের নয়াপাড়া ও সোনারপাড়া গ্রামের মধ্যবর্তী বৃহত্তর কবরস্থান অবহেলা অযত্নে পড়ে আছে প্রায় দেড়শ-দুশো বছর। দীর্ঘকাল অবধি এ কবরস্থান সংস্কারে এগিয়ে আসেনি ইউনিয়নের কোন জনপ্রতিনিধি। কয়েকবার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েও টাকার অভাবে সামনে এগোতেই পারেনি স্থানীয়রা।

তবে ১১ মার্চ (শনিবার) স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তি, নবীন ও প্রবীণদের সমন্বয়ে কবরস্থান সংস্কারের কাজের উদ্বোধন করেন এলাকাবাসী। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। কবরস্থান সংস্কার কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন- প্রায় ৪৫০ ফুট গাইডওয়াল নির্মাণ, ষোল কানি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ঘেরাবেড়া এবং কবরস্থানে লাশ উঠা নামার জন্য মাঝখানে চারটি রাস্তার কাজ তারা হাতে নিয়েছে। এতে ১২০ -২৫ লক্ষ টাকার দরকার বলে জানিয়েছেন তারা। তবে তারা স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলেছেন। তা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানান তারা।

কবরস্থান কমিটির অন্য কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন- পাহাড়ি জায়গা হওয়ায় বর্ষার পানিতে কবরস্থান ধ্বসে যায়। যার দরূণ লাশ রাখা ও জানাজা পড়া খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এ জন্য একটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে সেখানে অনেক কাজ বাকি আছে। সেটিও প্রতিবর্ষা মৌসুমে ভেঙে যায় পাহাড়ি ছড়ায় ঢল নেমে। এ থেকে রক্ষার জন্য আমাদের একটি গাইডওয়াল দরকার। পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকা সত্ত্বেও আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এমপি এবং উপজেলা প্রশাসন যেন আমাদের প্রায় ১৫,০০০ মানুষের এ কবরস্থান সংস্কারের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়ায়।

এলাকাবাসীর অনেকেই দাবি করেন, নানান জায়গায় আমরা কবরস্থানের জন্য সরকারি বরাদ্দ দিতে দেখেছি। কিন্তু আমরা কোন বরাদ্দ পায়নি। তবে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে বরাদ্দের আবেদন জানাবো। তারা যেন আমাদের কবরস্থান সংস্কারে সহযোগিতা করে।

কবরস্থান কমিটির আবু তৈয়ব, জালাল আহমদ, ছৈয়দ আজম ও মফিজুর রহমান জানিয়েছেন- এলাকার বাইরেও যারা প্রবাসী, দানবীর তারা যেন ধর্মীয় এ মহৎ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়ায়।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১৫০-২০০ বছরের পুরনো কবরস্থানে কোন আয়ের উৎস্য না থাকায় উল্লেখযোগ্য কোন উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ হয়নি। গত বছর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা পুরো কবরস্থান সংস্কারের উদ্যোগটি নিয়েছে। এতে এলাকাবাসীরাও যে যা পারে দিয়ে সহযোগিতা করেছে।