
সীমান্ত বাংলা ডেস্ক নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় একটি মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে সেটা কেন ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন সরকারপ্রধান।রবিবার দুপুরে জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের শুরুর দিনে শোক প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ চলাকালে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট ও পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, সিটি করপোরেশন পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সবকটি তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনাটি কেন ঘটল, কীভাবে ঘটল সে ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন তাকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে নিয়মিত খবর জানাচ্ছেন। দগ্ধদের চিকিৎসায় সব ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।মসজিদটি গ্যাস লাইনের ওপর নির্মিত হয়েছিল এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটার পারমিশন কেউ দিতে পারে না। দেয়া উচিত নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’
এ সময় সরকারপ্রধান জানান, গ্রামে-গঞ্জে অনেক মসজিদ হচ্ছে যেখানে বিদ্যুৎ লাইনের ক্যাপাসিটি পরীক্ষা না করেই মসজিদে এসির সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সারাদেশের মসজিদগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় গ্যাস কিংবা বিদ্যুৎ লাইনের কোনো ত্রুটি ছিল কি না সেটা তদন্ত হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি।
ঢাকাটাইমস/০৬সেপ্টেম্বর/এডমিন ইবনে যায়েদ