ডলারের দর বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়বে। বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খণিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মসরুল হামিদ এমনটাই আভাস দিয়েছেন। মন্ত্রী আরো জানান,সংকট তৈরি হলে প্রয়োজনে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় লোডশেডিং করা হবে। (১০ মে) শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী ।
উৎপাদন সক্ষমতার অভাব, ডলার সংকট সহ নানাবিধ কারণে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। যার প্রভাব পড়ছে জীবন যাত্রাসহ শিল্পকারখানায়। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন,বাড়ছে ব্যক্তি জীবনে ব্যয়ও। দিনশেষে আঘাত হানছে সামষ্টিক অর্থনীতিতে। এমন বাস্তবতায় সমসাময়িক জ্বালানি খাতের নানা বিষয় নিয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
তীব্র গরমে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সব কাজে অর্থের প্রয়োজন। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন চলছে, যার কারণে গত মাসে এমন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
ডলারের দর বৃদ্ধির প্রভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ার আভাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, তেল-গ্যাসের মতো বছরে ৪-৫ বার সমন্বয় করা হবে বিদ্যুতের দাম। এই খাতে ধীরে ধীরে তুলে দেয়া হবে ভর্তুকি।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় বিশেষজ্ঞদের সমালোচনা করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, কথিত বিশেষজ্ঞরা ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের বলতে চাই, ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া ১০০ মেগাওয়াটের একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট করেন, দেখি।
২০২৭ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ সংকট শতভাগ মিটবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।