সীমান্তবাংলা ডেক্স : বগুড়ায় এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেন প্রধান আসামি শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত নেতা তুফান সরকার।
রবিবার বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক একেএম ফজলুল হক এই জামিন আদেশ দেন।
এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নাফ জামিন চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
২০১৭ সালের ১৭ জুলাই তুফান সরকার এবং তার সহযোগীরা এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ভুক্তভোগীর মা ও মেয়েকে মাথা ন্যাড়া করে দেন। লোহার রড দিয়ে নির্যাতনও করেন। বিষয়টি মিডিয়ায় আসার পর পুরো দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ওই ঘটনায় নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে ২৯ জুলাই শিক্ষার্থীর মা বগুড়া সদর থানায় তুফান, আশা, রুমকি, রুমি, রুনু, শিমুল, আতিক, রূপম, জিতু, দিপু এবং অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা জামিন পেলেও তুফান জামিন পাচ্ছিলেন না। সে সময় থেকে তুফান জেলে ছিলেন। পরে নির্যাতনের মামলায় জামিন পেলেও ধর্ষণের মামলায় একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও তার জামিন মেলেনি। তবে আজ ঘটনার প্রায় সাড়ে ৩ বছরের মাথায় তুফান জামিন পেলেন।
বগুড়া নারী -শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর স্পেশাল পিপি নরেশ মুখার্জি জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছিল। নির্যাতন মামলায় সে আগেই জামিন পায়, রবিবার পেয়েছেন ধর্ষণ মামলার জামিন।
নরেশ মুখার্জি বলেন, এই মামলা নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্ট ৬ মাস সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল কিন্তু তিন বছর অতিক্রম হলেও মামলাটির নিষ্পত্তি হয়নি, বিধায় আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। এ সময় মা-মেয়ে আদালতে উপস্থিত থেকে জামিন দিলে তাদের অনাপত্তির কথা আদালতকে জানায়। তবে আমি এই জামিনের তীব্র বিরোধিতা করি।
১৭জানুয়ারি/ইএস/এডমিন/ইবনে
© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Leave a Reply