সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া কক্সবাজারের উখিয়ার স্পেশালাইজড হাসপাতালে শুরু হয়েছে সম্পুর্ণ বিনামূল্যে সার্জারি ক্যাম্পেইন। উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সহ ও স্থানীয় এলাকাবাসির বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের সংকল্প নিয়ে গত ২০ অক্টোবর ২০২৪ কাজ শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক পরিসরে বহির্বিভাগ, মাতৃস্বাস্থ্য, চক্ষু ও দন্তরোগসহ জরুরি সকল স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ শুরু করলেও দিন দিন হাসপালটির কর্তৃপক্ষ তাদের সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বিশেষায়িত হাসপাতালটিতে ৯ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বিশেষ সার্জারি ক্যাম্পের। যেখানে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের রোগীদের পিত্তথলির পাথর অপসারণ, হার্নিয়া, ছোট টিউমার, হাইড্রোসিলি সহ বিভিন্ন জটিল রোগের অপারেশনসহ যাবতীয় ঔষধ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করছে এনজিও সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ।
তথ্যসুত্র বলছে, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউ এন এইচ সি আর এর অর্থায়নে নির্মিত হাসপাতালটি প্রথমে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বহির্বিভাগ ও জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে স্বল্প পরিসরে পরিচালিত হয়ে আসছিলো। কিন্তু ফান্ড সংকটের কারনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এনজিও সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের কাছে হস্থান্তর করে।
দায়িত্ব হাতে পেয়েই ফ্রেন্ডশিপ কর্তৃপক্ষ নতুন উদ্বোধনকৃত ভবনে শুরু করে তাদের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম। উদ্বোধনী দিনেই আয়োজন করেন ‘চোখের ছানি ‘ও ‘টিউমার’ অপারেশন ক্যাম্পেইন। দুইদিন ব্যাপী চলমান এই ক্যাম্পেইনে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা মিলে প্রায় শতাধিক রোগীর অপারেশন ও পরবর্তীতে ঔষধ প্রদান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে হাসপাতালটি। সেবার মান বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে কর্মপরিধি। চালু হয় বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, চক্ষু, দন্তরোগ ফিজিওথেরাপীসহ সর্বশেষ সার্জারি ক্যাম্প। ব্যয়বহুল এই অপারেশন ক্যাম্পে ফ্রেন্ডশিপ তার নিজস্ব অর্থায়নে পিত্তথলির পাথর অপসারাণ,
হার্নিয়া, পাইলস, ও ছোট টিউমারের অপারেশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালটির ইনচার্জ ড.রাহাত জানান, ফ্রেন্ডশিপ চায় স্পেশালাইজড হাসপাতালটির মাধ্যমে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। সার্জারি ক্যাম্পের ব্যপারে তিনি জানান, প্রথমে সপ্তাহে দুদিন করে সার্জারি ক্যাম্প চালু থাকলেও পরবর্তীতে এর পরিসর বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ।