মো: শহিদ মিরাজঃ
বাংলাদেশে ঔষধ শিল্পে স্বনামধন্য গুনগত মানের অনেক ঔষধ কোম্পানী রয়েছে। যারা রোগ নিরাময়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম এমন একটি ব্যতিক্রমধর্মী কোম্পানীর কথা তুলে ধরা হলো, যিনি হতদরিদ্র জনগোষ্ঠি রোগীর কষ্টার্জিত টাকার মূল্য না বুঝে নিজস্ব প্রফিট কিংবা অতিলাভে সব সময় ব্যস্ত থাকে।
যার নাম সর্বাগ্রে চলে আসে তাহলো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল। এক গরীব রোগী অশ্রুস্বজলে বলেন স্কয়ার তুমিকি আমাদের প্রাণ চাও, না টাকা? কারণ, ডাক্তার যদি ওই স্কয়ারের ঔষধ লিখে দেয়, তাহলে অবশ্যই রোগীকে নিতেই হবে এর ব্যতিক্রম সাধারণত কম হয়। ভূক্তভোগী রোগী ও কেমিষ্টরা বলেন, অন্য কোনও ঔষধ কোম্পানীগুলো ঔষধের মূল্য না বাড়ানোর পূর্বেই যাঁরা দেশে প্রতিবার রাতারাতি বিভিন্ন ঔষদের মূল্যবৃদ্ধি করে চলেছেন তাঁরা হলো, একমাত্র স্কয়ার । তাঁদের দেখায় সর্বোপরি নিরূপায় হয়ে অন্য ঔষধকোম্পানী গুলো ধীরগতিতে হলেও বাধ্যহয়ে পরে দাম বাড়াতে হয়।
বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, Zimex-(500mg) যার Generic name, Azithromycin.একটি ট্যবলেটের বর্তমান মূল্য ৪০/- টাকা। অন্যদিকে, সকল কোম্পানীর একই ঔষধ এখনো ৩৫/- টাকা।
অতীতেও একই কায়দায় শুধুই স্কয়ার প্রথমে ২৫ টাকা থেকে ৩০ আবার ৩০ থেকে ৩৫ টাকা রাতারাতি বাড়িয়েছিল। এই হচ্ছে মূলত, ঔষধ শিল্পের অবস্থা।
এদিকে, দেশের জনসাধারণ ও হতদরিদ্র রোগীদের চিন্তা ও কথা না ভেবে এভাবে প্রতিটি ঔষধ প্রোডাক্টের দাম বাড়াতে থাকায় সাধারণ রোগীরাসহ লোকজন দিশেহারা।
অন্য দিকে, স্থানীয় এক ফিজিশিয়ান ডাক্তার বলেন, মূল্য বাড়িয়ে যাচ্ছে শুধুই, কিন্ত ওই মেডিসিনে ঠিক (Reagent) কাঁচামাল কত পার্সেন্ট আছে সঠিক পরিক্ষা-নিরীক্ষা করলেই বুঝা যাবে এদের প্রোডাক্টেরগুন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ফিজিশিয়ান বলেন, সাধারণ রোগীরাকি বুঝে? শুধু তাঁরা নাম জানে একটি স্কয়ার। কিন্ত, এঁদের কয়টি প্রোডাক্টে ভাল গুন সেটি আমরাই বুঝি।
তিনি আরো বলেন, ডাক্তারগণকে বিভিন্ন উপহার ম্যানেজ দিয়ে মূলত স্কয়ার তাঁদের নামটা বিশাল ছড়িয়ে দিয়েছেন। সুতরাং আপনি বেক্সিমকো, ইবনেসিনা, বায়ু ফার্মাসহ ভালো ভালো কোম্পানী বাজারে অনেক আছে (যাদের রয়েছে যথেষ্ট গুনগতমান) সেইখান থেকে খেয়ে যান, মূল্যও কম আছে। এভাবে একজন রোগীকে সৎ পরামর্শ দেন ওই ভদ্র ডাক্তার, রোগী বলেন যার জন্যে শুধুই দোয়া বেরিয়ে আসে মুখ থেকে।
এমতাবস্থায়, দেশে চাল,ডাল, তৈল, আলু পিয়াজসহ সবকিছুর উর্ধগতিতে অন্তত প্রাণ বাঁচার প্রয়োজনীয় ঔষধগুলোর মূল্য না বাড়িয়ে ন্যায্য প্রাইজে রোগীসুবিধায় বাজারে ছাড়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঔষধ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ ও রোগীসহায়তা কামনা করেছেন দেশের সচেতন জনসাধারণ।