শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন

শিরোনামঃ
কক্সবাজারে বৃষ্টির রেকর্ড ২৪ ঘণ্টায় ৪০১ মিলিমিটার পাহাড় ধসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ জনের মৃ’ত্যু কক্সবাজারে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৩ জনের মৃ’ত্যু প্রতিষ্টাতা কমিটির উদ্যোগে রামু প্রেস ক্লাবের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত  নরসিংদীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণা নরসিংদীতে কারাগার থেকে লুট হওয়া শটগান ও চায়নিজ রাইফেলের ম্যাগজিন উদ্ধার উখিয়ায় কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন উখিয়ায় অরক্ষিত গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির হিড়িক, আইনের কোন বালাই নাই সিলেটে বিমান থেকে উখিয়ার সালাউদ্দিন র‍্যাবের হাতে আটক।  বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও গতিধারা নতুন করে বিনির্মাণ করতে হবে ” মুহাম্মদ শাহজাহান
পাহাড়ের ২০০ বিঘা জমিতে নজিরবিহীন গাঁজা চাষ

পাহাড়ের ২০০ বিঘা জমিতে নজিরবিহীন গাঁজা চাষ

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার কালা পাহাড় পেরিয়ে দুর্গম দুইল্লাতলী গ্রামে সবার অন্তরালে রীতিমতো গড়ে তোলা হয়েছে গাঁজার অভয়ারণ্য। এক বিঘা বা দুই বিঘা নয়, ২০০ বিঘা পাহাড়ি জমিতে গাঁজার চাষ করা হয়েছে। দুর্গম এলাকা হলেও সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে সন্ধান মেলে এসব গাঁজা ক্ষেতের।

গত ২২ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির মহালছড়ির কালাবুনিয়া এলাকায় তিন একর জমিতে দুই ভাইয়ের গাঁজার ক্ষেত ধ্বংসের ১০ দিন না যেতেই ২০০ বিঘা জমিতে গাঁজা চাষের সন্ধান পাওয়া গেল।

বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে মেজর আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে মহালছড়ি জোনের আওতাধীন দুইল্যাছড়া পাড়ায় ২০০ বিঘা জমির গাঁজা ক্ষেত শনাক্ত করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে নিরাপত্তা বাহিনী।

এ সময় গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে অবৈধ গাঁজা চাষিরা। নিরাপত্তা বাহিনী এসব মাদক ব্যবসায়ী ও দুষ্কৃতকারীদের আটক করার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ে গাঁজার চাষ করা হয়। গাঁজা চাষের জন্য দুর্গম পাহাড়ি এলাকাকে বেছে নেয়া হয়েছে।

কীভাবে এ এলাকায় গাঁজার অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে তা আমার জানা নেই উল্লেখ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের কাজ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক নজর রাখব।

মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিন আহম্মদ বলেন, দুর্গম পাহাড়ে নজরদারি রাখা খুবই কঠিন। এজন্য সবার অন্তরালে গ্রামের লোকজন গাঁজার আবাদ করেছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটি গাঁজা চাষের মৌসুম। দুর্গম হওয়ায় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী বাহিনী গাঁজার আবাদ করেছে। গ্রামের বাসিন্দারাও গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেনাবাহিনী মহালছড়ি জোনের নেতৃত্বে বিশাল গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে এসব ক্ষেতের গাঁজা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ

Design & Developed by Ecare Solutions