ইরাকের বাগদাদে ইরানের প্রভাবশালী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর বড় যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।
সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় ‘ভয়ংকর প্রতিশোধ’ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এরপর পবিত্র মসজিদের চূড়ায় যুদ্ধের লাল ঝাণ্ডাও উড়িয়েছে দেশটি। যদি যুদ্ধ লেগেই যায় তবে বিশ্ব দেখবে পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার ভয়ংকর রূপ। যেটি আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। যার একটিও নেই ইরানের। তবে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে ইরানের কাছেও এই হাইড্রোজেন বোমা আছে।
এখন প্রশ্ন-কী এই হাইড্রোজেন বোমা? ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমার উপর প্রথম পরমাণু বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। বোমার নাম ছিল লিটল বয়। বিস্ফোরণের ফলে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত এর প্রভাব বয়ে চলেছে হিরোশিমায়। এর ঠিক তিনদিন পর নাগাসাকির উপর ফ্যাট ম্যান ফেলে আমেরিকা। সেখানে ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এই বোমা দুটির বিস্ফোরণের ফলে যে এনার্জি উত্পন্ন হয়, তা প্রায় ২০ হাজার টিএনটি (ট্রাই নাইট্রো টলুইন) বোমার সমান।
তবে হাইড্রোজেন বোমা পারমাণবিক বোমার চেয়েও ৭০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। হাইড্রোজেন বোমা দুই প্রক্রিয়ায় বিস্ফোরণ হয়। প্রথমে নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ হয়। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে তাপ উত্পন্ন হয়। তারপর সেটি নিউক্লিয়ার ফিউশনকে উদ্দীপ্ত করে। পুরো প্রক্রিয়ায় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রথম হাইড্রোজেন বোমা টেস্ট করে ১৯৫২ সালে। এর এক বছর পর সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজের হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। তসার বোম্বা নামে একটি হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। বিস্ফোরণের ফলে প্রায় ৫৭ মেগা টন শক্তি উত্পন্ন হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো যুদ্ধে হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি।
© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Leave a Reply