নিজস্ব প্রতিবেধকঃ এমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাজারো বাধা বিপত্তি পেরিয়ে গতোকাল কক্সবাজারের কুতুপালং এর কয়েকটি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে প্রায় ১৬ শ এর বেশি রোহিঙ্গাকে সকাল থেকে সন্দ্যাব্দ্বী ক্রমান্বয়ে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে বাসে করে সেনাবাহিনী বিশেষ টিমের তত্বাবধানে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্যাম্প কর্মকর্তা জানান চট্রগ্রামে নিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। নৌবাহিনী বেশ কয়েকটি জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্যেশ্যে রওনা হয় রাতে। স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়া এসব রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করেন শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনের প্রতিনিধি দল ও রোহিঙ্গা নেতারা।
ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যেসব রোহিঙ্গা পরিবার যাত্রা করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই এখানে বিভিন্ন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠনের দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার হয়ে অন্যত্র সেখানে চলে যাওয়ার আগ্রহের কথা স্বীকার করেছেন। আবার অনেকে কিছুটা দোটানায় থাকলেও ভাসানচরের ছবি, ভিডিও দেখে মত পরিবর্তন করে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেন জানান।
ভাসান চরে রওনা হওয়ার আগে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে রোহিঙ্গাদের জন্য বিশেষ মেজবানের ব্যবস্থা করে প্রশাসন।
উল্ল্যেখ্য যে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার দিনেই দুইটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের সরকারের উচিত একটি স্বচ্ছ স্থানান্তর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শরণার্থীদের বুঝে-শুনে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এবং দ্বীপটিতে যাওয়া-আসার অনুমতি সাপেক্ষে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
( সীমান্তবাংলা/ শা ম / ৪ ডিসেম্বর ২০২০)