নোয়াখালীতে নির্যাতিতা নারীর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার না করার নির্দেশ পুলিশের

সীমান্তবাংলাঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।
আটক দুই যুবকের কাছ থেকে একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মুখপাত্র আশিক বিল্লাহ।
এর আগে গতরাতে উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে দুই জনকে আটক করেছিল পুলিশ। দুপুরে তাদেরকে আদালতে তুলে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
বাকি আসামীদের গ্রেফতারে জেলা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব এবং পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
নির্যাতনের শিকার নারী গতরাতে আটক ওই দুজনের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, মাস খানেক আগে ঐ এলাকার কিছু বকাটে যুবক মহিলাটিকে অমানষিক নির্যাতন করে তার ভিডিও ধারন করে।
ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে গতকাল থেকে আলোচনা শুরু হয়, আর মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ঘটনার বিচার দাবি করে।
এরপর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বেগমগঞ্জ থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
পরে পুলিশ ওই ভিডিও দেখে দুর্বৃত্তদের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি ভিক্টিমকে তার বোনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
এদিকে, ওই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী নয় জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাসহ ভিডিও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে ঘটনাটির দেড় মিনিটের ঐ ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার বর্বরতা এবং এক মাস ধরে বিষয়টি ধামাচাপা থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলেছে সাধারণ মানুষ।
সর্বশেষ ভিডিওটি শেয়ার না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কাউকে এই ভিডিও শেয়ার করতে দেখা গেলে বা এই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
(সীমান্তবাংলা/ শা ম / ৬ অক্টোবর ২০২০)