
ধর্ষণচেষ্টার সময় খাটের সঙ্গে আঘাত পেয়ে আয়শা আক্তার ইয়াসফার (৬) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত এনামুল (১৯) পুলিশের কাছে স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার কথাও স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।
শনিবার অভিযুক্ত এনামুলকে নেত্রকোনায় গ্রেপ্তারের পর রোববার ঢাকা পাঠানো হয়।
এর আগে ভাটারার বারোবিঘা এলাকা থেকে গত ২৬ ডিসেম্বর আয়শার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই গাঁ ঢাকা দেয় এনামুল। তিনি শিশুটির প্রতিবেশি ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করেছে। তিনি জবানবন্দিতে জানিয়েছেন- ঘটনার দিন বিকেলে মোবাইলে লুডু খেলছিল তারা। কিন্তু এ সময় ঘরে কেউ না থাকায় শিশুটিকে হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণচেষ্টা চালায় সে। এ সময় শিশুটি হাত-পা ছোড়াছুড়ির চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে খাটের সাথে তার মাথায় আঘাত লাগে। পরে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে খাটের নিচে লাশ রেখে তার উপর সিমেন্টের ব্যাগ চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
আয়শার লাশ ময়নাতদন্ত জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এ প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান ওসি।
জানা যায়, বারোবিঘা এলাকার গুডনেইবার নামের একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ত আয়শা। তার বাবা ইয়াসিন মোল্লা একজন দর্জি। নিজেদের টিনশেড বাড়িতে থাকত আয়শার পরিবার। ওই বাড়ির পাশেই থাকত অভিযুক্ত কিশোরের পরিবার। ওই কিশোর রাজমিস্ত্রির সহকারি হিসাবে কাজ করত।