ক্যাম্পাস থেকে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে মধুর ক্যান্টিন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের যান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান খোকনসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় নেতাকর্মীরা প্রতিবাদস্বরূপ বিভিন্ন চিত্রের অঙ্কন করেন। ধর্ষণের বিরুদ্ধে আলপনা আঁকেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসসহ বিভিন্ন হলের নেতাকর্মী উপস্থিত রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে টিএসসি থেকে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্যের প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়াও ৪ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চার শিক্ষার্থী অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। ধর্ষণের খবর শোনার পরপরই রবিবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের ছাত্র সিফাতুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
আজ সকালে সিফাতের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অনশনে যোগ দেন ঢাবির আরো তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন মৃত্তিকা-পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের ছাত্র মো. সাইফুল ইসলাম রাসেল, তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের ২০১৩-১৪ সেশনের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান নাফিজ এবং ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্র মো. আব্দুর রহমান।
অনশনকারীরা এ সময় চার দফা দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- অবিলম্বে ধর্ষককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করা, ধর্ষণের বিরুদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ঘটে।
টিনিউজ/এইচআর