
সীমান্ত এলাকায় নতুন বিওপি নির্মাণ এবং পুরাতন বিওপি পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এর জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৭৩টি কম্পোজিট আধুনিক বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ করবে সরকার। এর মাধ্যমে সীমান্তে অপারেশন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের সুরক্ষিত অবস্থান নিশ্চিত করা হবে। সীমান্ত এলাকায় অপারেশনে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের জন্য উন্নত বাসস্থানও নির্মাণ করা হবে।
এ লক্ষে ‘সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র ৭৩টি কম্পোজিট/আধুনিক বর্ডার অবজারভেশন পোষ্ট (বিওপি) নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিসন সূত্রে জানা গেছে। প্রকল্পটি আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদনের পর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৩ সালে এটি বাস্তবায়ন করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
একনেক কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় নতুন বিওপি নির্মাণ এবং পুরাতন বিওপি পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। বিওপি বর্তমান স্থাপনাগুলো অতি পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ এবং কোথাও কোথাও বিওপিগুলোর মধ্যবর্তী দূরত্ব বেশি। এ প্রেক্ষিতে চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধ এবং সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলায় সমতল, পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলে ৪৯টি বিওপি পুনঃনির্মাণ এবং ২৪টি নতুন বিওপিসহ সর্বমোট ৭৩টি স্থানে বিওপি নির্মাণ করা জরুরি। সেই প্রেক্ষিতে বিজিবি’র যশোর, রংপুর, সরাইল, চট্টগ্রাম ও রামু রিজিয়নের অন্তর্গত স্থানগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের সীমান্ত রক্ষায় ৬৮৭টি বিওপি রয়েছে। যা আন্তঃসীমান্ত অপরাধ, মানব পাচার, অবৈধ বাণিজ্য ইত্যাদি প্রতিরোধে অপ্রতুল। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অপারেশনাল ও আভিযানিক কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধি, প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক কাঠামো জোরদার করা হবে।
ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর ২০২০