
সীমান্ত বাংলা ডেস্ক : দেশের তিন জেলায় পানিতে ডুবে আট শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সব কটি ঘটনা ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যদুপুরে। দুপুর ১২টার আশপাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামে সলিলসমাধি হয় এই আট শিশুর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে দুই শিশু, কিশোরগঞ্জে তিন শিশু ও কুড়িগ্রামে তিন শিশু মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পকুরে ডুবল প্রবাসীর দুই কন্যা
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পীরবাড়ির (আরামবাগ) জাহের মিয়ার পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। তারা ওই এলাকার প্রবাসী সাইদুল ইসলামের মেয়ে সামসুন্নাহার (১০) ও নুর ইসলামের মেয়ে মিথিলা (৭) ।স্থানীয়রা জানায়, ধারণা করা হচ্ছে গোসল করতে গিয়ে তারা ডুবে মারা গেছে। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিশোরগঞ্জে তিন শিশু
আজ দুপুরে জেলার নিকলী উপজেলায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই জনসহ তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ জানায়, জারইতলা ইউনিয়নের শাহপুর মাইজহাটি গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে শাহীন ওরফে শায়ন (৭) ও তার চাচাতো বোন মনি আক্তার ওরফে মুন (৭) বাড়ির পাশে খেলা করছিল। একসময় সবার অলক্ষে শিশু দুটি পুকুরের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে পানিতে ভাসমান অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে দামপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের জানান, কাঁঠালকান্দি গ্রামের কাজল মিয়ার মেয়ে শিশুকন্যা সুমাইয়া দুপুরের দিকে বাড়ির সামনে বর্ষার পানিতে ডুবে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুড়িগ্রামে নদীতে ডুবল তিন শিশু
রৌমারীতে খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে সোনাভরি নদীতে ডুবে আপন খালাতো ভাই-বোনসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।আজ দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের সোনাভরি নদীতে গোসল করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো, গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার কিসমত বড় বাড়ি গ্রামের অলি উল্ল্যাহের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিন্নাত খাতুন দিনা (১২), রৌমারী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হায়দার আলীর ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ (১৩) এবং একই উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউয়ারচর গ্রামের আ. কাদেরের ছেলে হামিম মিয়া (১৬)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, দুপুর ১২টার দিকে কলেজপাড়া গ্রামের পশ্চিম পাশে সোনাভরি নদীতে গোসল করতে যায় ওই তিনজন। এ সময় জিন্নাত খাতুন দিনা পানির গভীরে গেলে সিয়াম তাকে তুলতে গিয়ে সেও ডুবে যায়। ওদের দুজনকে তুলতে হামিম মিয়াও পানির গভীরে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা জাল দিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ঢাকাটাইমস/৪সেপ্টেম্বর ২০২০/