তিস্তার অভিশাপ কে আশীর্বাদে পরিনত করতে এবার চীনের মহাপরিকল্পনা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০

সীমান্তবাংলা ডেস্ক : বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য এক অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে তিস্তা। তাহার কারণে বাংলাদেশ বর্ষাকালে বানের জলে ভাসে মানুষ হারায় তাদের ভিটেমাটি এবং কৃষিজমি অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে পরিণত হয় মরুভূমিতে অথচ উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই তিস্তার সাথেই জড়িত।
বাংলাদেশের সরকার সেই অনেক কাল ধরেই তিস্তার পানি বন্টন হিস্যা ৫০-৫০ করার জন্য ভারতকে বলে আসছিলো তবে ভারত এতে কোনো কর্ণপাত করে নি শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি করে গেছে! আসলে ভারতের কাছে এই তিস্তা অনেকটা রাজনৈতিক ইস্যুতে রূপ লাভ করেছে।

যাই হোক, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার যখন দেখেছে ভারতের প্রতিশ্রুতিতে আখেরে বাংলাদেশের কোনো লাভ নেই তখন তাঁরা “তিস্তা নদী মহা ব্যাবস্থাপনা এবং পুনর্বাসন প্রকল্প” হাতে নেয় এবং প্রাথমিকভাবে JICA এবং World Bank এর কাছে ঋণ প্রস্তাব করে কিন্তু তাঁরা তখন এই প্রকল্পে কোনো আগ্রহ দেখায় নি তারপরে চীন সরকারকে ঋণ প্রস্তাব করা হলে তাঁরা এই সুযোগ কে লুফে নেয়। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে যার ফলে তিস্তায় বর্ষার পানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে এবং সেচের মৌসুমে পানির অভাব হবে না। উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে তরান্বিত করতে নিচের পদক্ষেপগুলো নেয়া হবেঃ

১. নদীর দুই পাড়ে ২২০ কিলোমিটার উঁচু বাধ নির্মাণ করা হবে।

২. নদীর বর্তমান প্রশস্ততা বর্তমানে কোথাও ৮ আবার কোথাও ১১। পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরো নদীর একটি নির্দিষ্ট প্রশস্ততা হবে ২ কিলোমিটার।

৩. নদী থেকে প্রায় ৮৮০ কিলোমিটার জায়গা উদ্ধার হবে যেহেতু প্রশস্ততা কমিয়ে ২ কিলোমিটার হয়ে যাবে।

৪. নদী খনন করে গড়ে তোলা হবে নৌ-চ্যানেল।

৫. উদ্ধারকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে রিভার ড্রাইভ, অর্থনৈতিক অঞ্চল, সৌরবিদ্যুত প্রকল্প, আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট এবং ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে বাকি উদ্ধারকৃত জমি বিতরণ করা হবে।

সীমান্তবাংলা/০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০/শাহীন মঈনুদ্দীন

(মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ_চেয়ারম্যান সেভ দ্য নেচার বাংলাদেশ)