কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে`বন্দুকযুদ্ধে’ নুর হাফেজ (৩২) ও মোহাম্মদ সোহেল (২৭) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছে। শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গাজী পাড়ার পশ্চিমে পাহাড়ে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৬টি দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক, ১৮ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১৩ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
নিহতরা হলেন: টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকার মো: আমিন ওরফে নুর হাফেজ (৩২) ও হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার মোহাম্মদ সোহেল (২৭)।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান: ১৩ ডিসেম্বর রাতে র্যাব-৭ এর একটি দল ৮ লাখ পিস ইয়াবা, ৬ টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মোঃ আমিন ওরফে নুর হাফেজ (৩২), মোহাম্মদ সোহেল (২৭), সৈয়দ নুর (২৭) ও সৈয়দ আলম প্রকাশ কালুকে (৪৫) আটক করে। আটকের পর র্যাব সদস্যরা ওই দিন বিকালে তাদের টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পরে আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাহাড়ে আরো ইয়াবা মজুদের কথা স্বীকার করলে রাতে টেকনাফ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ইয়াবা উদ্ধারের জন্য অভিযানে যায়। পুলিশদল টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গাজী পাড়ার পশ্চিমে পাহাড়ে পৌঁছানোর পর আগে থেকে ওৎপেতে থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।
এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে টেকনাফ থানা পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই মিশকাত, সনজীব দত্ত, কনস্টেবল মহিউদ্দিন, সেকান্দর গুলিবিদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে তল্লাসি করে পুলিশ ৬টি দেশিয় তৈরি এলজি, ১৮ রাউন্ড কার্তুজ, ১৩টি কার্তুজের খোসা, ৯৫০০০ পিস ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মো. আমিন প্রকাশ নুর হাফেজ (৩২) ও মোঃ সোহেলকে উদ্ধার করা হয়।
আহতদের প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মরদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাপসাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Leave a Reply